চেরনোবিলের কথা মনে করিয়ে ইউরোপকে ঘুম থেকে উঠতে বললেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়ায় অবস্থিত ইউরোপের সর্ববৃহৎ পারমাণবিক পাওয়ার প্ল্যান্টে রাশিয়া হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের দক্ষিণে নাইপার নদীর তীরে অবস্থিত এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইতিমধ্যেই দাউ দাউ করে জ্বলছে। এই আবহে গোটা বিশ্ব, বিশেষত ইউরোপের দেশগুলির উদ্দেশে এর ভিডিয়ো বার্তা দেন জেলেনস্কি। সেখানে তিনি ইউরোপকে ঘুম থেকে উঠতে বলার পাশাপাশি রাশিয়াকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলে অভিহিত করেন।জেলেনস্কি এদিন বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে জানি না যে এই আগুনের ফলাফল কী হবে, আমরা জানি না কখন বিস্ফোরণ ঘটবে বা, ঈশ্বরের ইচ্ছায় তা আদৌ ঘটবে কি না। কেউ নিশ্চিতভাবে জানতে পারছেন না। মানব জাতির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি সন্ত্রাসী দেশ পারমাণবিক সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে। রাশিয়ান প্রচার অতীতে বিশ্বকে পারমাণবিক ছাইয়ে ঢেকে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। এখন এটি শুধু একটি সতর্কতা নয়। এটা বাস্তব।’তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপকে জেগে উঠতে হবে। ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এখন আগুন লেগেছে। রাশিয়ান ট্যাঙ্কগুলি পারমাণবিক ব্লকগুলিতে গুলি করছে। এই ট্যাঙ্কগুলি থার্মাল ইমেজার দিয়ে সজ্জিত। তারা জানেন যে তারা কীসের দিকে গোলাবর্ষণ করছে। এর জন্যই তারা প্রস্তুতি নিয়েছে। আমি সমস্ত ইউক্রেনীয়, সমস্ত ইউরোপীয় এবং যারা চেরনোবিল শব্দটি জানেন তাদের সম্বোধন করছি, যারা জানেন যে পারমাণবিক কেন্দ্রে বিস্ফোরণে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এটি ছিল একটি বিশ্বব্যাপী বিপর্যয় এবং এর জেরে লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কয়েক হাজার লোককে সরিয়ে নিতে হয়েছিল এবং রাশিয়া সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি করতে চায় এবং ইতিমধ্যে এর পুনরাবৃত্তি করছে তারা। তবে এবার চেরনোবিলের থেকে এর ভয়াবহতা ৬ গুণ বেশি হবে।’