এই ছোট্ট ছোট্ট পায়ে, চলতে চলতে ঠিক পৌঁছে যাব...দুটি ছোটো ব্যাগ, একটি পাসপোর্ট। এইটুকুই সম্বল। আর তাই নিয়েই ১,২০০ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিল ছোট্ট ছেলে। পূর্ব ইউক্রেন থেকে নিরাপদে স্লোভাকিয়ায় পৌঁছল হাসান।১১ বছরের হাসানের বাড়ি জাপোরিঝিয়াতে। তার দিদার অনেক বয়স। তাই তাঁকে ছেড়ে ছেড়ে যেতে পারেননি তিনি। কিন্তু হাসানের যে নিরাপদ স্থানে পৌঁছনো প্রয়োজন। তাই মায়ের নির্দেশ মতো একা একাই রওনা দেয় সে।হাসানের মা তাকে ট্রেনে তুলে দেন। লম্বা যাত্রার পর অবশেষে ছোট্ট হাসান সীমান্তে পৌঁছান। এরপর কাস্টমস অফিসাররা তাকে সাহায্য করেন।ছেলেটি যখন সীমান্তে পৌঁছোয়, তার হাতে ছিল একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ, একটি ছোটো লাল ব্যাকপ্যাক এবং পাসপোর্ট। স্বেচ্ছাসেবকরা তাকে খাবার এবং পানীয় দেয়। অন্যদিকে, সীমান্তের কর্মকর্তারা স্লোভাকের রাজধানী ব্রাতিস্লাভাতে হাসানের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হাসানের মা, স্লোভাক পুলিশের পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় তাঁর ছেলের যত্ন নেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 'আমার শহরের পাশেই একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট আছে। সেখানে রুশ বাহিনী গোলাগুলি চালাচ্ছে। এদিকে আমার মা অসুস্থ। তাই আমি তাঁকে ছেড়ে যেতে পারিনি। কিন্তু আমার ছেলের জীবন পড়ে আছে। তাই আমি ছেলেকে একা একাই স্লোভাকিয়ায় আত্মীয়দের কাছে পাঠিয়েছি,' জানান জুলিয়া পিসেকা নামের ওই মা। জুলিয়ার স্বামী হাসানের বাবা অনেক আগেই গত হয়েছেন।জাপোরিঝিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ইউরোপের বৃহত্তম। এটিতে বড় বিস্ফোরণ ঘটনো হলে তা ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল বিপর্যয়ের চেয়েও অনেক বড় মাত্রায় হতে পারে। এ বিষয়ে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি। লাগাতার আক্রমণের পরে গত সপ্তাহে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এর দখল নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন ছেড়েছেন ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে ১২ লক্ষেরও বেশি পোল্যান্ডে এসেছেন। অন্যদিকে ১ লক্ষ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ স্লোভাকিয়ায় গিয়েছেন। ।