শুধু বিদ্যুৎ ও টেলিকম সংস্থাই নয়, উচ্চশিক্ষা-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও চিন সরকার ও চিনা কমিউনিস্ট পার্টির বড়সড় প্রভাব মুক্ত করতে সচেষ্ট হল কেন্দ⛄্রীয় সরকার।
ভারতীয় অর্থনীতিতে চিনা আগ্রাসনের বিষয়টি যে কতটা সুদূরপ্রসারী, সে সম্পর্কেꩲ কিছু টা আভাস পাওয়া গিয়েছে গত ১৫ জুলাইয়ের পর্যালোচনা বৈঠকে। লাদাখে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ এবং তার জেরে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত–চিন সামরিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা বিভাগ ও সচিব স্তরের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা।&nb💫sp;
বৈঠকে নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের প্রেজেন্টেশনে জানা গিয়েছে, ভারতে টেলিকম ক্ষেত্র ছাড়া উচ্চশিক্ষা স্তরেও চিনা সংস্থাগুলির মৌরসিপাট্টা গত কয়েক বছরে বহু গুণ বেড়েছে। জানা গিয়েছে, দেশের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ চিনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যথাযথ সরকারি অনুমোদন ছাড়াই মউ স্বাক্ষরের দ্বারা গাঁটছড়া বেঁধে বসে আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে ভারতে চিনের হান ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার জন্য স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠไানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চিনা শিক্ষা সংস্থা।
টেলিকম ক্ষেত্রে চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে ৪জি প্রযুক্তি আধুনিকীকরণের স্বার্থে চিনা বৈদ্যুতিন পণ্য উৎপাদক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিলের জন্য ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড-কে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগ। কিন্তু সস্তা হওয়ার কারণে বেসরকারি ফোন সংস্থাগুলি হামেশাই চিনা পণ্যের উপর নির্ভর করে। এমনকি ভারতে চিনা সংস্থা যাতে ব্যবসা করতে অসুবিধায় না পডজ়ে, সেই কারণে দরপত্রের শর্তাবলীও তাদের অনুকূল করার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে গত জুন মাসে শিল্প সংগঠন COAI আবার দা🍎বি করেছে, ভূগোল নির্ভর রাজনৈতিক সমস্যার সঙ্গে কর্পোরেট নিয়মনীতিকে গুলিয়ে ফেলা উচিত হবে না।&nbs🍸p;
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে শিক্ষা ও টেলিকম মন্ত্রককে বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে ভারতে চিনা সংস্থার একচেটিয়া অনুপ্রবেশের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। যে কোনও চিনা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষা, টেলিকম ও বিಌদেশ মন্ত্রকের অনুমোদন বাধ্যতামূলক। একতদিন পর্যন্ত তা কার্যকর করার বিষয়ে তেমন উদ্🌳যোগী না হলেও এবার নিয়মে বজ্র আঁটুনি দেওয়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি চালু করতে চলেছে কেন্দ্র।