জমির কাগজপত্র নিয়ে এক মহিলা সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে তর্কে পড়েছিলেন কিশোরী। সেই ‘অপরাধে’ ওই কিশোরীকে কষিয়ে চড় মারলেন মহিলা সরকারি আ🙈ধিকারিক। ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর কাপশেঠি থানার ভীষ্মপুর গ্রামে।
অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকের নাম প্রাচী কেসারওয়ানি। তিনি একজন তহশিলদার। ঘটনার সময় গ্রামবাসীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিশোরীকে চড় মারার পরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে পুলিশ সরকারি আধিকারিককে সেখান থেকে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেনᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ এসডিএম।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তাকর্মীকে সপাটে চড় মারলেন মে🐲য়র পারিষদ সদস্য তারক সিং, তোলপাড় কাণ্ড
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, ভীষ্মপুর গ্রামের একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। ওই জমিতে গ্রামের বহু মানুষের বাড়ি রয়েছে। আর সেখানে সঞ্জয় সিং নামে একজনের জমি রয়েছে। গ্রামবাসীরা সেই জমি জবরদখল করে রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে মামলাও চলছে হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে, সেবাপুরীর তহশিলদার প্রꦆাচী ওই জমির দখল নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিবাদ জানান গ্রামবাসীরা। তাঁরা মহিলা তহশিলদারের কাছে জানতে চান কোন জায়গা দখলের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরপরেই গ্রামবাসীরা আদালতের আদেশের প্রতিলিপি দেখতে চান। 🤡এরপরেই মহিলা আধিকারিক গ্রামবাসীদের বলেন, ‘আপনারা কী ইংরেজি পড়তে পারবেন?
এরপরে দ্বাদশ শ্রেণির ওই কিশোরী আধিকারিকের কাছে যান। ইংরেজিতে কথা বলতে-বলতে তিনি অফিসারের কাছে আদেশের প্রতিলিপি চান। এরপর দুজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। তাতেই মহিলা আধিকারিক রেগে গিয়ে মেয়েটিকে চড় মারেন। এতে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি উত্তেজিত হতেই পুলিশ সঙ্গে-সঙ্গে ওই মহ⛦িলা অফিসারকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। শেষে তহশিলদার জমির দখল না নিয়ে সেখান থেকে চলে যান। গ্রামবাসীদের দাবি, মহিলা আধিকারিকের সংযম দেখানো উচিত ছিল। কিন্তু তিনি ইচ্ছামতো কাজ করতে চেয়েছিলেন। একটি ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
যদিও ভিডিয়ো অসম্পূর্ণ বলে দাবি করেন প্রাচী। তাঁর দাবি, তিনি হাইকোর্টের আদেশ মেনে ব্যবস্থা নিতে গিয়েছিলেন। সেখানে কয়েকজন তাঁকে ধাক্কা দিয়েছিলেন, হামলার চেষ🌳্টা করেন। তাই আত্মরক্ষার জন্য তিনি কিশোরীকে চড় মারতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, কিশোরীর আত্মীয়রা তাঁর গাড়িতে উঠে পড়েছিলেন।