উত্তরকাশীর সিলকিয়ারা–বারকোট সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের সেই হাড়হিম উদ্ধারের ঘটনা কেউ ভোলেননি। এবার উত্তরকাশীর এই সুরঙ্গ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে। প্রায় দু’মাস পর এই কাজ শুরু হতে চলেছে বলে খবর। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে এখানে ধস নেমে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। সড়ক যোগাযোগ ও হাইওয়ে মন্ত্রকের অনুমতি মেলায় এই প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে। সরকারি সূত্রে এই খবরই দেওয়া হয়েছে। গত ১২ নভে🔯ম্বর সি♑লকিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নামে। তখন ওই সুড়ঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের ৪১ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। তাঁরা সবাই আটকে পড়েন। শুরু হয় রুদ্ধশ্বাস উদ্ধারকাজ।
এদিকে এই প্রকল্পের (এনএইচআইডিসিএল) প্রজেক্ট ম্যানেজার দীপক পাটিল কাজ শুরু নিয়ে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে সুরঙ্গের দুদিক রেড জোন করেছি। সমস্তরকম সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর কয়েকটি কাজ ২–৩ সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে।’ তবে এই সুরঙ্গে ধস নেমে পড়ায় টানা ১৭ দিন আটকে ছিলেন শ্রমিকরা। নানাভাবে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। তখন ভরসা করা হয়েছিল মার্কিন ‘অগার মেশিন’–এর উপর। এটি হল একটি খননযন্ত্র। এই যন্ত্র ধ্ꦯবংসস্তূপ কেটে এগোচ্ছিল। আর পিছনে এগোচ্ছিল ৯০০ মিমি ব্যাসযুক্ত পাইপ। যার মধ্যে দিয়ে বের করার চেষ্টা হয় আটকে থাকা শ্রমিকদের। 𒁏কিন্তু শেষরক্ষা তাতেও হল না।
অন্যদিকে আটকে থাকা শ্রমিকদের থেকে ১০–১২ মিটার দূরে ভেঙে পড়ে যন্ত্র। উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে বাধা কম আসেনি। বারবারই যান্ত্রিক গোলযোগে উদ্ধারকাজ থমকে যায়। একটা উৎকণ্ঠা নিয়ে তখন অপেক্ষায় শ্রমিকদের বাড়ির সদস্যরা। ধ্বংসস্তূপের ভিতরের লোহার কাঠামোয় ধাক্কা খেয়ে ভেঙে যায় আমেরিকায় তৈরি খননযন্ত্র। তখন আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। পাইপের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে কথা চলছিল। তা দিয়েই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল খাবার, জল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এরপর উদ্ধারকারী দল সেখানে ঢুকে যন্ত্র ছাড়াই খোঁড়া শুরু করেন। এই প্রক্রিয়াকেই বলা হয় ‘ইঁদুর–গর্ত’ প্রক্রিয়া 𒀰বা ‘র্যাট-হোল মাইনিং’।
আরও পড়ুন: মদের দোকান খোলা নᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বনগাঁয়, মারামারিতে𒅌 বন্ধ রইল ওয়াইন শপ
এছাড়া খনি থেকে কাঁচামাল বের করার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। কয়লাখনি যেখানে আছে সেখানে এই প্রক্রিয়া দেখা যায়। এই কাজে দক্ꦛষ প্রতিনিধিরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে খনিতে নেমে সরু গর্ত খুঁড়তে খুঁড়তে এগিয়ে যান। ঠিক যেমন করে গর্ত খোঁড়ে ইঁদুর। ‘ইঁদুরের গর্ত খোঁড়া’র জন্য প্রথম দফায় ১২ জন অভিজ্ঞ প্রতিনিধিকে ঘটনাস্থলে আনা হয়। তাঁরা সুড়ঙ্গের ভিতরে পৌঁছে একজন দেওয়াল খুঁড়তে থাকেন। দ্বিতীয়জন ধ্বংসস্তূপ সংগ্রহ করেন এবং তৃতীয়জন সেসব চাকা লাগানো গাড়িতে তুলে দেন। সেই গাড়ি ধ্বংসস্তূপ বহন করে সুড়ঙ্গের বাইরে নিয়ে যায়। এভ♛াবেই শেয পর্যন্ত এই পদ্ধতিতেই উদ্ধারকাজে আসে সাফল্য।