বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। কিন্তু এটা একট♋া না একটা সময় তো স্তিমিত হবেই। তারপর? ওমিক্রন পরবর্তী পরিস্থিতিই এখন ভাবাচ্ছে গবেষকদের। প্রাথমিক পর্যালোচনায় দুটি দিক উঠে আসছে।
প্রথমেই সে সম্ভাবনা আ♉সছে, তা বেশ উদ্বেগজনক। গবেষকদের ধারণা, আগামিদিনে আরও বিপজ্জনক কোনও ভ্যারিয়েন্ট আসতেই পারে। ওমিক্রন যত বেশি ছড়ায়, তত বেশি প্রতিলিপির সম্ভাবনা বাড়ে। মিউটেশন তো হবেই। ফলে নতুন ও শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট আসার সম্ভাবনা যথেষ্ট বেশি। বর্তমানে ওমিক্রনের দ্রুত সংক্রামক ক্ষমতা নিয়ে চিন্তিত সকলে। এটি কিন্তু ডেল্টার চেয়েও বেশি। ফলে পরবর্তী ভ্যারিয়েন্টেও যে এই ট্রেন্ড বজায় থাকবে না, তাই নিয়ে꧟ কোনও নিশ্চয়তা নেই।
দ্বিতীয় সম্ভাবনাটি অবশ্য একটু আশার আলো দেখাচ্ছে। ওমিক্রন নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্বল্প সংখ্যক গবেষণা হয়েছে। তার প্রায় প্রতিটিই বলছে এটি দ্রুত ছড়ায়। কিন্তু তুলনামূলকভাবে কম প্রাণঘাতী। ফলে এটি একটি বেসলাইন অনাক্রম্যতা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। ফলে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হবেন। কিন্তু হাসপাতালে ভরতির মতো প্রাণহানি বা মৃত্যুর ঘটনা তুলনায় কম হবে। বরং জনসংখ্যার একটা বড় অংশের ক্ষেত্রে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাবে। আর এই শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধই আগামিদিনে মহামারীর সমাপ্তি ত্বরান্বিত করবে। ফলে ভবিষ্যতে কম শক্তিশালী Sars-CoV-2 ভ্যারিয়েন্টে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।আরও পড়ুন : শাপে বর হতে চলেছে ওমিক্রন? নয়া প্রজাতির হাত ধরেই ইতি পড়বে করোনা মহামারীতে?