গত পরশু চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার মডিউল বিক্রম। তার থেক📖ে বেরিয়ে এসেছে রোভার 'প্রজ্ঞান'। বিক্রমের অবতরণের জেরেই সেই এলাকায় ধুলো ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই কিছুক্ষণ পরে প্রজ্ঞান বেরিয়ে আসে। এখন চাঁদের মাটিতে কী করছে সে? জানালেন ইসরো প্রধান। ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, অভিযানের পরবর্তী পর্যায়ের কাজ শুরু করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই আবহে আগামী কয়েকদিনে চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে প্রজ্ঞান। এর ফলে চাঁদের মাটি সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা মিলবে। এদিকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কী কী খনিজ পদার্থ থাকতে পারে, তাও খতিয়ে দেখবে প্রজ্ঞান। এদিকে ইসরোর তরফে প্রজ্ঞানের 'মুনওয়াক'-এর একটি ভিডিয়ো প্রকশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত পরশুই চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছিল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার 'বিক্রম'। সেই বিক্রমের ভেতরে ছিল রোভার 'প্রজ্ঞান'। এই অভিযানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই রোভার। চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে তা পৃথিবীতে পাঠাবে এই রোভার। আর তা খতিয়ে দেখেই নতুন নতুন বিষয়ে জানতে পারব আমরা। জানা গিয়েছে, গত পরশু রাতেই চাঁদের মাটিতে নামে প্রজ্ঞান। গতকাল সকালেই ইসরো ജএক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানায়, 'প্রজ্ঞান'-এর 'মুনওয়াক' শুরু হয়েছে। চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞানের নেমে আসার ভিডিয়োও সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। তাতে দেখা গিয়েছে, বিক্রমের সামনের দিকে থাকা দরজা খুলে গিয়েছে। তা থেকে একটি ঢালু পথ নেমে গিয়ে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে। সেই পথ ধরেই ধীরে ধীরে চাঁদের মাটিতে নামছে প্রজ্ঞান।
উল্লেখ্য, চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে এই রোভারই কাজ করবে এবং তথ্য সংগ্রহ করে ইসরোর বিজ্ঞানী🌊দের কাছে পাঠাবে। জানা গিয়েছে, প্রজ্ঞানে মোট ৬টি চাকা রয়েছে। এদিকে এটি সেকেন্ডে মাত্র এক সেন্টিমিটার করে এগোতে পারে। এই আবহে আগামী আর ১২ থেকে ১৩ দিন চাঁদের দক্ষিণ মেরুর আশেপাশে ঘুরে কাজ করবে প্রজ্ঞান। এরপর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্য ডুবে গেলে আর শক্তি অবশিষ্ট থাকবে না প্রজ্ঞানে। কারণ সূর্যের আলো থেকেই শক্তি আহরণ করে এটি চলে ফিরে বেড়াচ্ছে। তাই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে 'সন্ধ্যা নামলে' ঘুমোতে চলে যাবে প্রজ্ঞান। প্রজ্ঞানের সঙ্গে রয়েছে একাধিক স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। সেই ক্যামেরা দিয়েই চাঁদে নামার মুহূর্তের ছবি পাঠিয়েছে প্রজ্ঞান। এই রোভারের চাকায় ইসরোর এবং ভারতের জাতীয় প্রতীক এমব্রস করা রয়েছে। তাই যখন এই রোভার এগোবে, এটি ইসরো এবং ভারতের প্রতীকের ছাপ ফেলতে থাকবে চাঁদের মাটিতে।