উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির যে হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ১০ওটি সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুর খবরে উত্তাল সারা দেশ, সেই ঘটনার পর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতে, সেই একই হাসপাতাল ঘিরে সামনে এল নয়া বিত🦂র্ক। সৌজন্যে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক।
অভিযোগ উঠছে, একদিকে যখন হাসপাতাল চত্বরের সর্বত্র সন্তানহারাদের হাহাকার শোনা যাচ্ছে, তেমনই একটি সংবেদনশীল সময়ে হাসপাত🥃াল কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত হয়ে পড়ে উপমুখ্যমন্ত্রীকে সেখানে স্বাগত জানা♛তে!
এখ🐬নও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে এসেছে, সেই ꦚঅনুসারে, শুক্রবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মী বাই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের 'নিকু' ওয়ার্ডে (সদ্যোজাতদের চিকিৎসা ও দেখভালের জন্য বরাদ্দ বিভাগ) প্রথম আগুন লাগে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সর্কিটের জেরেই এই অঘটন ঘটেছে। সেই সময় ওই ওয়ার্ডে অন্তত ৫৪টি শিশু ভর্তি ছিল। য♋াদের মধ্যে ৪৪ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বাকিদের আগুনে পুড়ে ভয়াবহ মৃত্যু হয়।
এমন একটি আবহ💟ে যখন সকলের মনই ভারাক্রান্ত, তখনই সেই হাসপাতাল পরিদর্শন করতে আসেন উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। আর তাঁর আগমনের বার্তা পেতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব ভুলে মন্ত্রী মশাইকে স্বাগত জানাতে উঠে-পড়ে লাগে!
সোশাল মিডিয়ায় এই 🍸ঘটনার যেসমস্ত ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা এই সমস্ত ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি), তাতে দেখা যাচ্ছে - মন্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই সেখানে ঝাড়-পোঁছ করার ধুম পড়ে গিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি, বিশেষ করে কংগ্রেস সরব হয়েছে সমাজমাধ্যমে। দলের তরফে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, 'বিজেপি সরকার যে কতটা অসংবেদনশীল হতে পারে, তা দেখুন। একদিকে জীবন্ত আগুনে পুড়ে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যরা শোকস্তব্ধ। অন্যদিকে, উপমুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে হাসপাতালের রা♚স্তায় চুন ছড়ানꦦো হচ্ছে!...'
দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ছাড়াꦏও শীর্ষ নেতৃবর্গ, যেমন - রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা-সহ অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে সরব হয়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য তাঁরা সকলেই রাজ্যের বি👍জেপি সরকারকে দায়ী করেছেন।
অবস♕্থা বেগতিক বুঝে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণ থেকে গা বাঁচিয়🃏ে চলার চেষ্টা করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। প্রসঙ্গত, তিনি রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের দেখভালের দায়িত্বেও রয়েছেন।
ব্রজেশ পাঠক বলেন, 'এই ধরনের 🉐আচরণ আমি মোটেও সমর্থন করি না এবং আমি এর প্রতিবাদ করছি। জেলা প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ,💦 যে বা যাঁরা রাস্তায় চুন ঢেলেছেন, তাঁদের শনাক্ত করে কড়া পদক্ষেপ করা হোক।'
প্রসঙ্গত,𓆉 ঝাঁসির হাসপাতালের এই অগ্নিকাণ্ড ও শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।