চাঁদের মাটিতে পথ চলা শুরু করে দিয়েছে প্রজ্ঞান। উল্লেখ্য, গতকালই চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছিল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার 'বিক্রম'। সেই বিক্রমের ভেতরে ছিল রোভার 'প্রজ্ঞান'। এই অভিযানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই রোভার। চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে তা পৃথিবীতে পাঠাবে এই রোভার। আর তা খতিয়ে দেখেই নতুন নতুন বিষয়ে জানতে পারব আমরা। গতরাতেই বিক্রমের থেকে চাঁদের মাটিতে নামতে শুরু করেছিল প্রজ্ঞান। আর আজ সকালে ইসরো এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানাল যে 'প্রজ্ঞান'-এর 'মুনওয়াক' শুরু হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'ভারতের থেকে ১০০ বছর পিছিয়ে', চন্দ্রযান নিয়ে কী বলছেন পাকিস্তানিরা?)
চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞানের নেমে আসার ভিডিয়োও সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। তাতে দেখা গিয়েছে, বিক্রমের সামনের দিকে থাকা দরজা খুলে গিয়েছে। তা থেকে একটি ঢালু পথ নেমে গিয়ে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে। সেই পথ ধরেই ধীরে ধীরে চাঁদের মাটিতে নামছে প্রজ্ঞান। উল্লেখ্য, চাঁদের মাটিতে ঘুরে ঘুরে এই রোভারই কাজ করবে এবং তথ্য সংগ্রহ করে ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে পাঠাবে। জানা গিয়েছে, প্রজ্ঞানে মোট ৬টি চাকা রয়েছে। এদিকে এটি সেকেন্ডে মাত্র এক সেন্টিমিটার করে এগোতে পারে। এই চন্দ্রাভিযানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে প্রজ্ঞানই। ক𝕴ারণ চাঁদের মাটিতে শুধু অবতরণ করেই তো হবে না। সেখান থেকে তথ্য পৃথিবীতে প🌺াঠাতে হবে, তাহলেই সফল হবে এই অভিযান। আর সেই কাজটাই করবে চন্দ্রযানের এই রোভার।
আরও পড়ুন: ভারতের চন্দ্র জয়ে অবদান রাখা এই বাঙালি রত্নদের চ൲িনে নཧিন, জানুন কার কী দায়িত্ব
জানা গিয়েছে, আগামী ১৪ দিন প্রজ্ঞান চাঁদের দক্ষিণ মেরুর আশেপাশে ঘুরে কাজ করবে। অর্থাৎ♋, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যতদিন সূর্যের আলো থাকবে, ততদিন কাজ করবে এটি। এরপর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্য ডুবে গেলে আর শক্তি অবশিষ্ট থাকবে না প্রজ্ঞানে। কারণ সূর্যের আলো থেকেই শক্তি আহরণ করে এটি চলে ফিরে বেড়াচ্ছে। তাই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে 'সন্ধ্যা নামলে' ঘুমোতে চলে যাবে প্রজ্ঞান। প্রজ্ঞানের সঙ্গে রয়েছে একাধিক স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। সেই ক্যামেরা দিয়েই চাঁদে নামার মুহূর্তের ছবি পাঠিয়েছে প্রজ্ঞান। ভবিষ্যতেও চাঁদের মাটির ছবিও পাঠাবে সেটি। তাছাড়া চাঁদের মাটিতে কোন ধরনের খনিজ বস্তু আছে, তাও খতিয়ে দেখবে প্রজ্ঞান। এই রোভারের চাকায় ইসরোর এবং ভারতের জাতীয় প্রতꦏীক এমব্রস করা রয়েছে। তাই যখন এই রোভার এগোবে, এটি ইসরো এবং ভারতের প্রতীকের চাপ ফেলতে থাকবে চাঁদের মাটিতে।