পাঁচ রাজ্যে একেবারে ভরাডুবি। ইতিমধ্যেই সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কার্যত দিশেহারা কংগ্রেস শিবির। সেই পরিস্থিতিতে রবিবার তড়িঘড়ি কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছিল। পাঁচ রাজ্য়ের ফলাফল নিয়ে এদিন চুলচেরা বিশ্লেষন করা হয়। সূত্রের খবর সেখানে কিছুটা আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েন একাধিক কংগ্রেস নেতৃত্ব। একে হারের যন্ত্রণা, অন্যদিকে নেতৃত্ব নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন। সূত্রের খবর, একটা সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী বলেই ফেলেন, যদি পার্টি মনে করে তবে আমরা তিনজনই ইস্তফা দেওয়ার জন্য তৈরি রয়েছি। অর্থাৎ মা সোনিয়া ও তাঁর পুত্র ও কন্যা রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার কথাই বলতে চান তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁর এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। তিনিই ফের কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি থাকছেন।সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও এদিনের মিটিংয়ে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কেসি বেনুগোপালন, মল্লিকার্জুন খার্গে প্রমুখ কংগ্রেস নেতৃত্ব ছিলেন। গ্রুপ ২৩ নেতৃত্বের মধ্যে গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা ও মুকুল ওয়াসনিক ছিলেন মিটিংয়ে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ছিলেন না বৈঠকে। এদিকে মল্লিকার্জুন খার্গে জানিয়ে দেন, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী কালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীই নেতৃত্ব দেবেন। আমরা ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হব। তাঁর নেতৃত্বে আমাদের আস্থা আছে। এদিকে রাহুল গান্ধীকে পূর্ণ সময়ের জন্য় কংগ্রেসের সভাপতি করার দাবিও তোলা হয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের তরফে।