অসংগঠিত শ্রমিকদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ২০২০ সালের অগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ' ই শ্রম' পোর্টাল শুরু করেছিল। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, এই পোর্টালে এখনও পর্যন্ত নথিভূক্ত শ্রমিকের সংখ্যা ৩৭ কোটি ২৩ লাখ ৬৩৯ জন । উল্লেখযোগ্য ভাবে এরমধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবাংলা। পোর্টালের পরিসংখ্যান অনুযায়🧸ী, এ রাজ্যের ২ কোটির বেশি শ্রমিক পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছেন। সংখ্যাটা হল ২ কোট♉ি, ৩৯ লাখ ৫ হাজার ৯৬৫ জন। প্রথম স্থানে রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। শনিবার পর্যন্ত নথিভূক্ত শ্রমিকদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে এই পোর্টালে।
পরিযায়ী শ্রমিক সহ অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রক এই ক♍াজ শুরু করেছিল।
এতদিন কেন্দ্রের কাছে অসংগঠিত শ্রমিক নিয়ে কোনও পরিসংখ্যান ছিল না। তবে করোনার সময় বোঝা গিয়েছিল অসংগঠিত শ্রমিক কতটা রয়েছে। এই প্রকল্পে রাস্তাঘা꧃টে পণ্য বিক্রেতা, গৃহ নির্মাণ কর্মী, পরিযায়ী শ্রমিক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের শ্রমিকরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারছেন।
প্রাথমিকভাবে সরকারের লক্ষ্য ছিল ৩৮ কোটি অস🌟ংগঠিত শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করা। ইতিমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রায় প্রায় পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্র। শ্রমিকরা যাতে সামাজিক নিরাপত্তা এবং প্রকল্প গুলি সুবিধা পান তার জন্য এই পোর্টালে নাম রেজিস্ট্রেশন করে নথিভুক্ত শ্রমিকরা ১২ ডিজিটের 'ই-শ্রম' কার্ড পাচ্ছেন। বিভিন্ন তথ♚্য মিত্র কেন্দ্র, সাইবার ক্যাফে বা নিজেরাই শ্রমিকরা নাম নথিভুক্ত করতে পারছেন।
কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নথিভূক্ত শ্রমিকরা কোনও দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা পাবেন। এছাড়াও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হতে পারে নথিভূক্ত শ্রমিকদের। তবে শোনা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই শ্রমিকদের ১০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়ার ভাবন𝐆া চিন্তা করছে কেন্দ্র।
শ্রমিকরা আরও কি কি সুবিধা পাবেন তা জানার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর প্রথম থেকে চালু রয়েছে। টোল ফ্রি ন🌃ম্বর ১৪৪৩৪-এ ফোন করে প🀅্রয়োজনীয় খোঁজ-খবর নিতে পারবেন শ্রমিকরা। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী এই পোর্টালে নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন মহিলারা। ৫২.৮৩ শতাংশ মহিলা এই পোর্টালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। অন্যদিকে, ৪৭.১৭ শতাংশ পুরুষ শ্রমিক এই পোর্টালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন । এছাড়া, তফশিলি জাতি ও উপজাতি যথাক্রমে ২১.৯৮ এবং ৬.৯৩ শতাংশ। পোর্টালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিহার এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে ওড়িশা।