চ্যাট অ্যাপদের মধ্যে প্রায় একচেটিয়া কর্তৃত্ব হোয়াটসঅ্যাপের। কিন্তু নতুন একটি প্রাইভেসি পলিসি আনায় চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা। সেই পলিসির সঙ্গে একমত না হলে হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়তে হবে, কার্যত এই কথা বলেছিল সংস্থা। এই বিতর্কের জেরে অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে টেলিগ্রাম বা সিগন্যালের মতো বিকল্পে চলে যাচ্ছেন। চাপের মুখে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে আপাতত তিন মাসের জন্য এই নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে না। আট ফেব্রুয়ারি থেকে এই নতুন পলিসি চালু হওয়া কথা ছিল। কিন্তু আপাতত তা স্থগিত হয়ে গেল। প্রসঙ্গত সংস্থা আগেই জানিয়েছে যে তারা ফেসবুকের সঙ্গে ব্যক্তিগত ডেটা শেয়ার করে না, এমনকী তারাও পড়ে না কোনও কথাপোকথন। শুধু কোনও বিজনেস হ্যান্ডেলের সঙ্গে চ্যাট করলে সেই তথ্যটা ফেসবুককে দেয়। সংস্থার দাবি যে যত সময় বাড়বে মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে বিক্রি-বাটা বেশি করবে, তাই সেই তথ্য কীভাবে ব্যবহার করা হয় সেটা জানানো হয়েছে এই নয়া পলিসিতে। আগে যা ছিল প্রাইভেসি সেটিংয়ে, সেটিতে কোনও তারতম্য করা হয়নি। কিন্তু কবের মধ্যে মানুষ সেই পলিসি মেনে নেবে, তার শেষ তারিখ পিছিয়ে দিল হোয়াটসঅ্যাপ। সংস্থা জানিয়েছে আপাতত কোনও অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড বা ডিলিট করা হবে না। এই সংক্রান্ত যে ভুল তথ্য মানুষ পাচ্ছে, সেই ভ্রান্তি সংশোধন করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। তারপরে মানুষকে সুযোগ দেওয়া হবে প্রাইভেসি পলিসি রিভিউ করার। সেই কারণে ডেডলাইন পিছিয়ে ১৫ মে করা হয়েছে। প্রাইভেসি পলিসি না মানলেই যে অ্যাকাউন্ট ডিলিট হয়ে যাবে না, সেটাও সবাইকে বোঝাবে হোয়াটসঅ্যাপ।সৈ