শিশির গুপ্ত
সীমান্তে লাউডস্পিকারে পঞ্জাবি গান বাজাচ্ছে চি♈ন। ১৯৬২ এবং ১৯৬৭ সালেও একই পন্থা নিয়েছিল বেজিং। কিন্তু কেন? পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জওয়ান থাকলেও বেছে বেছে পঞ্জাবি গান বাজানো হচ্ছে কেন?
সেই উত্তর খুঁজতে পিছিয়ে যেতে হবে ১০০ বছরেরও বেশি সময়। সেই সময় (বিংশ শতাব্দীর প্রথম বছর অর্থাৎ ১৯০০ সাল) চিনে ‘বক্সার বিপ্লব’-এর সূচনা হয়েছিল। উত্তর চিনে পাশ্চাত্য ও জাপানি প্রভাব বৃদ্ধি রুখতে তা শুরু হয়েছিল। 🔯ক্রমশ তা বেজিংয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময় চিনা খ্রিস্টানদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছিল। সেই বিপ্লবের নামে অত্যাচার দমন করতে চিনে গিয়েছিল ব্রিটেন, 𓄧ইতালি, রাশিয়া, ফ্রান্স-সহ আট দেশের বাহিনী। শিখ এবং পঞ্জাব রেজিমেন্টদের জওয়ানদেরও চিনে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশ সেনা।
অচিরেই দমন করা হয়েছিল সেই বিপ্লব। ১৯০১ সালেই স༒রকারিভাবে বিপ্লব শেষ হয়ে গিয়েছিল। এক ভারতীয় সিপাহীর বয়ান অনুযায়ী, বিপ্লব দমনের পর ব্রিটিশ সেনা জিনিসপত্র লুটপাট করেছিল। তারই অঙ্গ হিসেবে জওয়ানরা অনেক জিনিসপত্র নিয়ে এসেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম হল লাফিং বুদ্ধের একটি মূর্তি। যা এখন চুশুল বিগ্রে🅷ড সদর দফতেরর মেসে আছে।
ভারত-চিন যুদ্ধ সংক্রান্ত একটি বইয়ের ꦕলেখক তথা অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক নেভিলে ম্যাক্সওয়েল জানিয়েছেন, সেই বিপ্লবের সময় যে অপমান সইতে হয়েছিল, সেই ভাবাবেগ কাজে লাগিয়ে দেশের পুনর্বিন্যাস করেছিল চিনের নেতৃত্ব। ম্যাক্সওয়েলের মতে, ১৯৬২ সালের ℱযুদ্ধের সঙ্গে সেই মানসিক গঠনের কোথাও না কোথাও একটা যোগ ছিল।
ভারতীয় সেনার এক কমান্ডার জানান, সেই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের কারণে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) মনত্বাস্তিক🌠 অভিযানে পঞ্জাবি বা শিখ জওয়ানদের উপর এত জোর দেওয়া হয়। আর তারই অঙ্গ হিসেবে সম্ভবত সীমান্তে আবার পঞ্জাবি ✨বাজাচ্ছে চিন।