জার্মান সংস্থার থেকে বোরিং মেশিন কেনা হচ্ছে। তাতে চিন কেন ব্যাগড়া দিচ্ছে কেন? তা নিয়ে দিল্লির মেট্রোর মধ্যেই সকলের সামনে জার্মানির অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট হাবেককে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যিনি সপ্তম ভারত-জার্মানি আন্তঃসরকারি উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন। তারইমধ্যে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লি মেট্রোয় চড়েন। আর সেইসময়ই তাঁকে সেই প্রশ্ন ছুড়ে দেন গোয়েল। ক্যামেরা চলার মধ্যেই জার্মান মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘দেখুন, আপনাদের যে জার্মান সংস্থা আমাদের বোরিং মেশিন সরবরাহ করে….সেগুলি চিনে ত🐼ৈরি করা হয়। কিন্তু ওদেরকে ꧟(জার্মান সংস্থা) ভারতে সেই (বোরিং মেশিনগুলি) বিক্রির অনুমতি দিচ্ছে না চিন। আমাদের তাহলে জার্মান যন্ত্রপাতি কেনা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ তারপরই উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন জার্মানির অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী। আর তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় যে আপনার কথা শোনা উচিত আমার।’ উল্লেখ্য, কসকাতা মেট্রোর মতো বিভিন্ন প্রকল্পে সেই টানেল বোরিং মেশিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আরও বেশি ভারতীয়কে ভিসা দেবে জার্মানি
সেইসবের মধ্যেই জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে বৈঠক সারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারত-জার্মানি আন্তঃসরকারি উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠকে মোদী জানান, ভারতের দক্ষ কর্মীদের উপরে জার্মানি যেভাবে আস্থা দেখিয়েছে, তা অত্যন্🎀ত উল্লেখযোগ্য ব্যাপার। আর সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এবার থেকে বছরে ৯০,০০০ দক্ষ ভারতীয় কর্মীকে ভিসা দেবে জার্মানি। এতদিন যে সংখ্যাটা ২০,০০০ ছিল।
ভারতীয়দের প্রতিভায় মুগ্ধ জার্মান চ্যান্সেলর
একইসুরে জার্মানির চ্যান্সেলর জানান, জার্মানিতে দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের আরও বেশি সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। আরও বেশি স🦹ংখ্যক দক্ষ ভারতীয় যাতে জার্মানিতে যান, সেজন্য সম্প্রতি একটি বিশেষ নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হয়েছে। আর শুধুমাত্র ২০২৩ সালেই জার্মানিতে কর্মরত ভারতীয়দের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩,০০০। জার্মানির চ্যান্সেলর বলেন, ‘ওঁদের (ভারতীয়দের) যে প্রতিভা, সেটাকে আমরা কাজের বাজারে স্বাগত জানাচ্ছি।’
হাতে হাত মিলিয়ে কাজের বার্তা জার্মানির
সেইসঙ্গে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ভারতের মধ্যে যাতে দ্রুত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করা যায়, সেটার পক্ষে সওয়াল করেন জার্মানির চ্যান্সেলর। আর ভারত এবং জার্মানি যদি হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে, তাহলে বছরের পরে বছরের পরিবর্তে কয়েক মাসের মধ্যেই মুক্ত ℱবাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়িত হয়ে যা♛বে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন শলৎস।