১৩ই মে ২০২১ সাল। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান একটি লাইভ প্রোগ্রামে ঘোষণা করেছিলেন যে শিশুরা কোভিডে তাদের বাবা মা অথবা একজন অভিভাবককে হারিয়েছে তারা সরকারি আর্থিক সহায়তা পাবে। কথা ছিল ২১ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাদের ৫ হাজার টাকা করে মাসিক সহায়তা দেওয়া হবে। তাতে আশায় বুক বেঁধেছিলেন অনেকেই। এই যেমন ইন্দোরের দুই বোন। একজন নামকরা স্কুলে পড়ত। অপরজন বি-টেক পড়ে। ২৯শে এপ্রিল আচমকা বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার তাদের বাবা চলে গেলেন কোভিডে। একেবারে অথৈ জলে গোটা সংসার। তাদের মা ডুবে গেলেন গভীর অবসাদে। দুই বোন আশ্রয় নিয়েছে দাদুর কাছে। কিন্তু সেই দাদুরও তিন মাসের বাড়ি ভাড়া বকেয়া। তবুও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় কিছুটা ক্ষীণ আশা দেখেছিলেন তারা। কিন্তু চারমাস পর দেখা যাচ্ছে সেই নির্দেশে কিছু বদল আনা হয়েছে। আপাতত শুধুমাত্র বাবা ও মাকে হারিয়ে অনাথ হওয়া শিশুদেরই সহায়তা করা হবে। যাদের সিঙ্গল পেরেন্ট আছে তারা আর সহায়তা পাবে না। কারণ, সরকারের আর্থিক সংকট, বাজেটে কুলোবে না। আধিকারিকদের দাবি, দুজন অভিভাবক মারা গিয়েছেন এমন শিশুর সংখ্যা যেখানে ১ হাজার ১ জন সেখানে একজন অভিভাবক মারা গিয়েছে এমন শিশুর সংখ্যা দশ হাজারের উপর।এবার তাদের জন্য অন্য স্কিমে ২ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য সরকার থেকে বলা হয়েছে।গোয়ালিয়রের এক স্বামীহারা মহিলা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, বার বার মনে হচ্ছে দুজনেই কেন চলে গেলাম না। তাহলে আমার সন্তানটা সরকারি সহায়তা পেত। শিশু ও নারী কল্যান দফতরের কমিশনার মিনা নায়েক বলেন, অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে সিঙ্গল পেরেন্টেদের শিশুদের স্পনসর করার ব্যাপারে আবেদন করা হবে। তাদেরকে সহায়তা করার জন্য আমাদের বাজেটে কুলোবে না।