সম্প্রতি এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা গিয়েছে এক যুবতী মনুস্মৃতি বই পুড়িয়ে তা থেকে সিগারেট ধরাচ্ছেন। তিনি সামনেই মাংস রান্না করছেন। সেই উনুনের আগুন থেকেই তিনি মনুস্মৃতি জ্বালান। জানা গিয়েছে, ভাইরাল ভিডিয়োর সেই যুবতী আরজেডি নেত্রী। তাঁর নাম প্রিয়া দাস। বয়স ২৭ বছর। তিনি আরজেডির মহিলা সেলের রাজ্য সম্পাদক। প্রিয়া দাস জানিয়েছেন, তিনি নিজে ধূমপান করেন না, বা ভিডিয়োর মাধ্যমে ধূমপানকে উৎসাহিত করতে চাননি। তিনি নিজে আমিষও খান না। তবে তিনি মাংস রান্না করছিলেন। তাঁর বক্তব্য, 'মনুস্মৃতিতে মহিলা বিরোধী যেসব লেখা আছে, তার প্রতিবাদ করতেই তিনি এই সব করেছেন এবং এই ভিডিয়ো বানিয়েছেন।' (আরও পড়ুন: 🌌BJP-র আয়োজনে হনুমান মূর্তির সামনে মহিলাদের বডি-বিল্ডিং পোজ,গঙ্গাজল ছেটাল কংগ্রেস)
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, প্রিয়া একটি মাটির উনুনে মাংস রান্না করছেন। এরপর মনুস্মৃতির একটি কপি এনে তিনি উনুনের আগুনে তা পুড়িয়ে দেন। বইয়ে ধরা আগুন থেকে তিনি একটি সিগারেট ধরান। এই ভিডিয়ো সম্পর্কে আরজেডি বলেন, 'আমার উদ্দেশ্য কারও অনুভূতিকে আঘাত করা নয় বরং বহুজন সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি। যে বই নারীকে সমতা দেয় না, সেই বই পুড়িয়ে দেওয়া কি ভুল? আমার উদ্দেশ্য কুসংস্কার, ভন্ডামি ও ভন্ডামীর ধারণাকে আক্রমণ করা। বাবা সাহেবও মনুস্মৃতি দহন করেছিলেন ১৯২৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর।' তিনি বলেন, 'মনুস্ম🌳ৃতিতে নারীদের জন্য অনেক বিষয় নির্♔ধারণ করা হয়েছে- তারা কী করতে পারে আর কী পারে না। সিগারেট খেয়ে আমি এর প্রতিবাদ করেছি।'
প্রিয়া বলেন, 'বইটিতে বলা হয়েছে, কোনও নারী মদ্যপান করলে তাঁকে বিভিন্নভাবে শাস্তি দেওয়া হতে পারে। তবে তাঁকে শাস্তি দেওয়ার আগে তাঁর জাত নিশ্চিত করতে হবꦅে।' তিনি দাবি করেন, 'আমি আমিষ জাতীয় খাবার খাই না এবং আমি ধূমপানও করি না। তবে আমি এই বইয়ের লেখার প্রতিবাদ জানাতে এই ভিডিয়োটি বানিয়েছি। মনুস্মৃতি পোড়ানো একটি সাময়িক ঘটনা। বাবাসাহেব আম্বেদকর অনেক আগেই এই বইটিকে পোড়ানোর ভিত্তি স্থাপন করে দিয়ে গিয়েছিলেন। মনুস্মৃতি পোড়ানোর উদ্দেশ্য কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়। এটা ভন্ডামী এবং ভান করার ধারণাকে আক্রমণ করার জন্য করা হয়েছে। এটাই আমার লক্ষ্য ছিল। বই থেকে মানুষ জ্ঞান অর্জন করে। কিন্তু এই বই মানুষকে বৈষম্য ও বিভক্ত করে। সে জন্য জনগণকে এ ধরনের বইয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত। এই বইয়ের প্রতিটি পাতা পুড়িয়ে দেওয়া উচিত।'