উত্তরপ্রদেশে ‘লাভ জেহাদ’-এর মতো অপরাধের ক্ষেত্রে আরও কড়া শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। প্রথমবারের মতো এসব অপরাধের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত শাস্তি কার্যকর করতে চাইছে সরকার।সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বেআইনি ধর্মান্তর নিষেধাজ্ঞা (সংশোধনী) বিল ২০২৪ পেশ করেছে। তাতেই এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে যোগী সরকার ও বিজেপির সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। প্রস্তাবিত সংশোধনী বিলকে বিজেপি সঠিক পদক্ষেপ হিসাবে স্বাগত জানালেও সমাজবাদী পার্টি এটিকে একটি ‘বিভাজনমূলক’ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে, যার লক্ষ্য সমাজে বিদ্বেষ তৈরি 🎶করা।
আরও পড়ুন: ‘লাভ জেহাদ’ ইস্যু তুলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যুবকক🅺ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ
উত্তর প্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য সাংবাদিকদের বলেন, যে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো উচিত। বিজেপি নেতা মহসিন রাজা বলেছেন, এই আইনটি যখন সংশোধন করা হবে তখন এটি অবৈধ ধর্মান্তর মোকাবেলায় ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে। কারণ অনেক লাভ জেহাদের ঘটনা সামনে♋ আসছে যেখানে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে গোপনে বিয়ে করে মেয়েকে ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘যদি কোনও ব্যক্তি মেয়ে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মেয়ের জীবন নিয়ে খেলা করে তাহলে অপরাধীকে কেন জবাবদিহি করতে হবে না? একজন প্রতারক যদি তার পরিচয় গোপন করে এবং বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও মেয়েকে বিয়ে করে, তাহলে কেন এমন লোকদের আইনের আওতায় আনা যাবে না?’
অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টি, লাভ জেহাদ সম্পর্কিত আইনে সংশোধন আনার জন্য যোগী আদিত্যন𝔍াথ সরকারের নিন্দা করেছে। তাদের বক্তব্য, এটি নেতিবাচক রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি বিজেপির বিদ্বেষ এতে স্পষ্ট হচ্ছে। সমাজবাদী পার্টির নেতা ফখরুল হাসান চাঁদ একটি ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই লাভ জেহাদের আইন রয়েছে। কেউ যদি কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে কাউকে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে, তবে তার জন্য একটি আইন আছে। কিন্তু, বিজেপি এসব নিয়েই মাথা ঘামাতে ব্যস্ত। বেকারত্ব ও পেপার ফাঁস ܫনিয়ে কিছু করতে চায়ছে না।