কোলেস্টেরল হল একটি চর্বি জাতীয় পদার্থ। এলডিএল হল খারাপ কোলেস্টেরল, এইচডিএল হল ভালো কোলেস্টেরল। দেহে এলডিএলের মাত্রা বেশি থাকলে তা থেকে রক্তবাহীনালী সরু হয়ে রক্তচলাচল বন্ধ করে দেয়। যার ফলে হার্টঅ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপের মতো ঝুঁকি লক্ষ্য করা যায়। রক্তে যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা ২০০ এমজির কম থাকে তাহলে কার্ডিওভাস্কুলারের ঝুঁকি কমে যায় আর এর মাত্রা বেশি থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই আগে থেকে সচেতন হওয়া ভালো। কারও যদি আগে থেকে কোনও রোগ যেমন ডায়াবিটিস, করোনারি আর্টারি ডিজিজ থাকলে তাঁদের প্রতি আলাদা রকমের যত্ন নেওয়া উচিৎ। রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা বেড়ে গেলে তা বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। তবে কারও কারও চোখের কোণে বা হাতের আঙুলে কোলেস্টেরল জমতে পারে।যদি আপনার থাকে হাই কোলেস্টেরল এবং তা যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তবে এই পানীয়গুলি আপনাকে সাহায্য করতে পারে। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই সব খাবারগুলি কী কী?টমেটোর রসবাড়িতে সহজেই বানানো যেতে পারে টমেটোর রস। এটি সহজেই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়।উদ্ভিজ মিল্কওট বা সয়া মিল্কের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।হলুদ দুধহলুদে থাকে অ্যান্টি-ব্যক্টিরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এছাড়া এর মধ্যে থাকা কারকিউমিন রক্তকে জমাট বাঁধতে ও কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই এখন শুধু দুধ নয় তার সঙ্গে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে খান।মেথি জলমেথি রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় পাশাপাশি মেথি খালি পেটে খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।তুলসী পাতাতুলসী পাতা শুধু চিবিয়ে খেলেই কাজ হয় না, এর রস করে খেতে হবে। এর রসে থাকে ইউজেনল যা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখে।সবুজ চাগ্রিন টিতে থাকা ক্যাটেচিন ও অন্যান্য আন্টি-অক্সিডেন্টগুলি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।কমলালেবুর শরবতকমলালেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রাসের গুণগুলি আপনার দেহে বাড়তি কোলেস্টেরল কমায়।ব্লু বেরিব্লু-বেরি ও এক গ্লাস দুধ হতে পারে সকালের স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট।কোকোকোকোতে থাকা ফ্যাবানল রক্তে ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল, খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।ডালিমখারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এনে রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে। এটি গ্রিন টি, প্ল্যন্ট মিল্কের চেয়ে অনেক গুণে ভালো।