‘পকসো আইনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হল ১৮ বছরে♚র কম বয়সি মেয়েদের যৌনশোষন থেকে রক্ষা করা। আইনটি তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্বেচ্ছায় প্রেম বা শারীরিক সম্পর্ককে অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করে না।’ একটি পকসো মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের। বিচারপতি আরও উল্লেখ করেছেন, জেলে অপরাধীদের সঙ্গে রাখা একজন যুবকের ভাল হবে না, আরও খারাপের দ🍬িকে চলে যাবে সে। এই বলে অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: বয়ান দিয়েও ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন ꦜহেনস্থার অভিযোগ প্রত্যাহার নাবালিকার
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ১৭ বছর বয়সি এক কিশোরী ২০ বছর বয়সি এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হলে শারীরিক সম্পর্ক হয়। ঘটনায় গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। তখন পরিবারের সদস্যরা ওই যুবকের বিরুদ্ধে কিশোরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ তোলে। সেই ঘটনায় ২০২১ সালে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে জেলে রয়েছে ওই যুবক। জামিনের জন্য দিল্লি হাইকোর্টে𓆏 আবেদন জানায় ওই যুবক।
মামলাটি ওঠে বিচারপতি বিকাশ মহাজনের বেঞ্চে। আদালতের মতে, ১৭ বছর বয়সি ওই মেয়েটির সঙ্গে অভিযুক্ত যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিচারপতি বিকাশ মহাজনের পর্যবেক্ষণ, ‘যখন তাদের শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তখন যুবতীর বয়স ছিল প্রায় 🃏সাড়ে ১৭ বছর। একটা প্রেমের সম্পর্ক বোঝার জন্য এই বয়স যথেষ্ট। এছাড়া অভিযুক্তের সঙ্গে সহমতেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। শারীরিক সম্পর্কের পথে তারা এগিয়েছিল নিজেদের ইচ্ছায়।’ বর্তমানে অভিযুক্তের বয়স ২৩ বছর। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘এই সত্যটি সম্পর্কে আদালত অবগত যে ঘটনার সময় মেয়েটি নাবালিকা ছিলেন। তবে সম্পর্ক বোঝার মতো বয়স তাঁর ছিল।’
উভয় পক্ষের বক্তব্য খতিয়ে দেখার পর আদালত মনে করে, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন না মেয়েটি। তা সত্ত্বেও, পরিবারের চাপে এফআইআর করতে বাধ্য হয়েছিল ওই নাবালিকা। কারণ মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার 🧸পর থেকে তার ওপর চাপ দিচ্ছিল পরিবার। জামিনের শ🐟র্ত হিসেবে ওই যুবক শহরের বাইরে যেতে পারবেন না। সাক্ষীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলা যাবে না। মামলার শুনানি থাকলেই আদালতে হাজিরা দিতে হবে। উল্লেখ্য, এর আগে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট পরামর্শ দিয়েছিল, যৌনতায় সম্মতির বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা হোক। সে ক্ষেত্রে আদালতের যুক্তি ছিল, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে অনেক দ্রুত মানসিক বিকাশ হয়।