শুভব্রত মুখার্জি
রশিদ খা🦹নদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে রীতিমতো লড়াই করে জিততে হল বাংলাদেশকে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে আফগানদের দেওয়া সাধারণ টার্গেট তাড়া করতে গিয়েও রীতিমতো লড়াই করতে হল টাইগারদের। একদিনের ফর্ম্যাটে যথেষ্ট শক্তিশালী দল হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ। তাদেরও ২১৫ রান তাড়া করে জয় পেতে কালঘাম ছুটল কার্যত। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ ৪৫ রানে ছয় উইকেট হারানোর পরেও দুই তরুণের ব্যাটে লড়াই করে জিততে হল টাইগারদের।
দুই তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব (১১৫ বলে ৯৩ রান) এবং মেহেদি মিরাজ (১২০ বলে ৮১ রান) লজ্জার হাত থেকে বাঁচালেন বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেটে দু'জনের অসাধারণ জুটিতে চার উইকেটে রোমাঞ্চকর জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ। এদিন রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।১৪ রানের মধ্যে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর লিটন দাস সাজঘরে ফিরে যান। এরপর ফারুকির বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন দাস। আট বলে এক রান করেন লিটন। ওই ওভারের পঞ্চম⛎ বলে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে এলবিডব্লিউ করে আউট করেন আফগান পেসার।তামিম আট বলে করেন আট রান।
এরপর তিন রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। শিকারী সেই ফারুকি। ম্যাচে টাইগারদের হয়ে অভিষেক করা ইয়াসির আলি চার বলে কোনও রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তারকা অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসানও ১৫ বলে ১০ রান করে মুজিবুর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে যান। ২৮ রানে বাংলাদেশ তখন পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। এর আগে আফ🙈গানদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সবথেকে খারাপ পারফরম্যান্স ছিল ৭৯ রানে ৫ উইকেট। সব প্রতিপক্ষ মিলিয়ে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম ১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল ২০১২ সালে মীরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে ৪৫ রানে। রশিদ খান নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই আট রান করা মাহমুদউল্লাহকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন। এর পরবর্তীতে শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটার আফিফ হোসেন এবং মেহেদি মিরাজ জুটি টাইগারদের লড়াইতে ফেরান। ৩০ ওভার শেষে ফ্লাডলাইটের আলো পর্যাপ্ত না হওয়ায় খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। এরপর ৬৪ বলে কেরিয়ারের প্রথম অর্ধশতরান পূরণ করেন আফিফ হোসেন। তাঁর সঙ্গী মিরাজও কেরিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতরান ক♏রেন ৭৯ বলে। শেষ ৫ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৯ রানের🦋। এই জুটিতেই ৭ বল হাতে রেখে কষ্টার্জিত পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। সপ্তম রেকর্ড উইকেটে রেকর্ড পার্টনারশিপ করে বাংলাদেশ।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.১ ওভারে ২১৫ রানে অল-আউট হয় আফগানিস্তান। বাংলাদেশি পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে পড়ে যায় আফগানিস্তান। ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚমুস্তাফিজুর রহমান। দুটি করে নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শাকিব আল🦋 হাসান এবং শরিফুল ইসলাম। আফগানদের হয়ে ৮৪ বলে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন নাজিবুল্লাহ জার্দান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছেন রহমত শাহ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।