শুভব্রত মুখার্জি: শনিবারেই প্রকাশ পেয়েছে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যত 'রোডম্যাপ'। ভবিষ্যতে কোন পথে এগোবে ভারতীয় ফুটবল, সেই বিষয়ে শনিবার বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। ভারতীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এআইএফএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে এই রোডম্যাপের বিষয়ে। যার পোশাকি♎ নাম দেওয়া হয়েছে 'ভিশন ২০৪৭'।
উল্লেখ্য, ২০৪৭ সালেই দেশ উদ༒যাপন করবে তার স𝓡্বাধীনতার শতবর্ষ। আর তার মধ্যেই ভারতীয় ফুটবলের খোলনলচে বদলে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বাধীন এআইএফএফের তরফে।
শনিবার মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে এআইএফএফের প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে জানিয়েছেন, গোটা রোডম্যাপটা সফল হবে দলগত প্রচেষ্টার ফলেই। তিনি জানিয়েছেন, ‘এটা আমাদের স্বপ্ন দেখার অধিকার। আমাদের কর্তব্য হল, এই স্বপ্নকে সত্যি করতে যা যা করা দরকার তা করার। দলগত ভাবে আমাদের প্রচেষ্টার ফলে ভারতীয় ফুটবলকে সেই উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই, যেখানে আগে কোনও দিন ভারতীয় ফুটবল পৌঁছায়নি। দল হিসেবে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে ২০৪৭ সালে আমꦛাদের দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। আমাদের ফুটবলে যে জায়গাটায় এখনও খামতি রয়েছে আগামী ২৫ বছরে তা পূরণ করে ভারতকে ভবিষ্যতে সামনের দিকে এগিয়ে দেওয়াটাই লক্ষ্য।’
আরও পড়ু𝓰ন: জঘন্য পারফরম্যান্স, এগিয়ে গিয়েও ওড়িশার কাছে হারল লাল-হলুদ
ফিফা এবং এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) বৈঠকে এআইএফএফ ৬ বছর করে চারটি ধাপে গোটা বিষয়টিকে ভে൲ঙেছে। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু দিককে বেছে নেওয়া হয়েছে। একেবারে গ্রাসরুট পর্যায় থেকে পরিকাঠামো গঠন এই বিষয়গুলোতে বেলি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মহিলা ফুটবলকেও। মহিলা ফুটবলের উন্নতি ঘটাতে দেশে চার ধাপের লিগ আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিক ম্যাচ খেলার বিশেষ করে যত বেশি ম্যাচ খেলা যায় তার দিকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছে। ২০৩৬ সালের মধ্যে এশিয়ার প্রথম সাতটি ফুটবলার খেলিয়ে দেশের মধ্যে যাতে করে ভারত আসতে পারে সেটাই প্রধান লক্ষ্য এমনটাই জানܫিয়েছেন জেনারেল সেক্রেটারি সাজি প্রভাকরন।
আসুন একনজরে দেখে নে🎐ওয়🌳া যাক এআইএফএফের ২০৪৭ সালের রোডম্যাপে নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত:
১) প্রতিটা রাজ্যে থাকবে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স। কমপক্ষে ৫০ টি প্রফেশনাল ফুটবল ক্লাব থাকবে। যাদে🌌র অনুশীলনের নিজেদের মাঠ থাকবে।
২) এই মুহূর্তে ভারতে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলে প্রায় ৪৫০০ ক্লাব। সেটাকে ২০৪৭ সালে ২০🐎০০০'এ নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আমাদের নাম্বার নাইনের উপর নির্ভর করতে হয় নꦬা- গোয়াকে হারিয়ে বড় দাবি ATKMB কোচের
৩) প্রফেশনাল কাঠামোতে অন্ততপক্ষে ১০০ টি ক্লাবকে নিয়ে আসা হবে। 💃যার মধ্যে অন্ততপক্ষে ২০টি 'স্ট্যান্ড-অ্যালোন' মহ𓃲িলা প্রফেশনাল ফুটবল ক্লাব থাকবে।
৪) ২০৩৭ সালের মধ্যে এশিয়ার প্রতিযোগিতায় অন্ততপ🔜ক্ষে একটি ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে।
৫) ২০২🅺৬ সালের মধ্যে সরকারের সহযোগিতায় অন্ততপক্ষে দুটি ফিফার মান অনুযায়ী স্টেডিয়াম এবং একটি স্মার্ট স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে।
৬) গ্রাসরুট প্রোজেক্টে ২০২৬ সাꦗলের মধ্যে ৩৫০০০ হাজার বাচ্চাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। স্কুল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের মধ্যে দিয়ে ২০ মিলিয়ন বাচ্চাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে ১ মিলিয়ন তরুণ ফুটবলারকে নথিভুক্ত করতে হবে।
৭) ভারতে রেফারিদের জন্য আলাদা কোর্স চালু করা হবে
৮) ১০ জানুয়ারি ফুটবল হাউস থেকে ৫০ জন প্রফেশনাল রেফারিকে নথিভুক্ত কর♔ার কথা ঘোষণা করা হবে। ভারতীয় ফুটবলে রেফারিংয়ের মানের উন্নতি ঘটাতে এটা করা হবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।