শুভব্রত মুখার্জি: ফুটবল বিশ্বকাপের মঞ্চে ক্যামেরুন কোনও অচেনা নাম নয়। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকেই তারা বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছে। ১৯৮৬ সালের চ্যাম্পিয়ন দিয়েগো মারাদোনার আর্জেন্তিনাকে হার🌞িয়ে চমকে দিয়েছিল তারা। তবে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গিয়েছে তারা। তবে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের মতন দলকে হারিয়ে সকলের নজর কেড়েছে ক্যামেরুন।
নক আউট পর্বে যেতে না পারলেও, একাধিক পজিটিভ বিষয়কে ꦉসঙ্গী করেই দেশে ফিরছেন রজার মিল্লার দেশের ফুটবলাররা। আসলে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে জয়টাই বদলে দিয়েছে ক্যামেরুন ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসটাই। ক্যামেরুন যদি নকআউটে য🐭েত, ফের অঘটন ঘটাতেই পারত।
ব্রাজিল ম্যাচে সেরার পুরস্কার পেয়েছেন ডেভিস এপাসি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘ক্যামেরুনে কেউ আমাকে চিনত না। সবাইকে ধন্যবাদ আমাদের পাশে থাকার জন্য।’ কাত🔥ার বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের হয়ে দু'টি ম্যাচে খেলেছেন এপাসি। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে যে এপাসি খেলছেন, সেটা তাঁকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দলের কোচ রিগোবার্ট সঙ্গ দলের দুই নম্বর কিপারকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ম্যাচটি খেল꧋বেন। পরের দিন বেশ ভালো পারফরম্যান্স করেন তিনি। মিত্রোভিচ, ফিলিপ কসটিচদের আটকে দেন তিনি। ফলে ম্যাচটি ড্র করতে সমর্থ হয় ক্যামেরুন।
ꦑআরও পড়ুন: সহজেই আমেরিকাকে হা🧸রিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে গেল ডাচরা
রবিবার ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ম্যাচে আরও কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হয়েছিল এপাসিকে। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিলের প্রথম একাদশে থাকা ৯ ফুটবলা𓄧রকে এ দিন বিশ্রাম দিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ তিতে। ৮৮ হাজার দর্শকদের উপস্থিতিতে অবশ্য ক্যামেরুনের ফুটবলাররা তাঁদের জাত চিনিয়েছেন। ২৯ বছর বয়সি এই গোলরক্ষক রবিবার ব্রাজিলের সমস্ত আক্রমণকে কার্যত একাই সামলে দিয়েছেন। আর তার ফলে পরবর্তীতে ভিনসেন্ট আবুবাকার পেয়ে যান বিরাট এক সুযোগ। যা তিনি হাতছাড়া করেননি। ফলে ১-০ গোলে ম্যাচ জিতে এক ঐতিহাসিক জয়কে সঙ্গী করেই কাতার বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফিরে গেলেন ক্যামেরুনের ফুটবলাররা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।