মরশুমের প্রথম ডার্বি জিতে মোহনবাগান সমর্থকদের এক হাত নিলেন ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা। ম্যাচের আগেই স্টেডিয়ামের মোহনবাগান গ্যালারির একদিকে বড় ব্যানারে বাঘ আর সিংহের একটি ছবি দেওয়া ছিল। যেখানে দেখা গিয়েছিল মোহনবাগানের বাঘ ইস্টবেঙ্গলের সিংহকে কাবু করছে। ম্যাচ শুরু আগে যা দেখে বেশ চটে গিয়েছিল ইস🦋্টবেঙ্গলের ভক্তেরা। তবে তারা কিছুই বলতে পারেননি। কারণ গত আত ম্যাচের ডার্বি জিততে পারেনি তারা, তাই তারা একটা জয়ের অপেক্ষায় ছিল। এদিন যুবভারতীতে জয় পেতেই সব জবাব সুদ সমতে ফেরত দিল লাল হলুদ জনতা। ‘দু চোখে ভরা স্বপ্ন, বুকেতে দাবানল, লড়াই এর রূপ🌞কথা, ও আমার ইস্টবেঙ্গল।’ এমনই সব স্লোগানে ভরে গেল সোশ্যাল মিডিয়া। টুইটারে ইস্টবেঙ্গলের ট্রেন্ডিংটাও অনেক উপরে উঠে গিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে লাল হলুদ সমর্থকেরা বলে দিলেন কারা ম্য়াচ আসলে বাঘ আর কারা আসলে বিড়াল। এদিন মাঠের মধ্য়ে মোহনবাগানকে ০-১ গোলে হারিয়ে মরশুমের প্রথম ডার্বি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল, তবে মা𒅌ঠের বাইরে সোশ্যাল মিডিয়াতে সব𓆏ুজ মেরুন সমর্থকদের যেন ১০ গোল দিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা। ম্যাচের একদিন আগেই বড় ম্যাচ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাগান কর্তা দেবাশিস দত্ত বলেছিলেন, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা নয়ে নয় দেখতে চান না বলেই টিকিট নেননি এবং তাঁরা ডুরান্ডের মিটিং থেকে পালিয়েগিয়েছেন। এদিন ম্যাচ জেতার পরে তারও উত্তর দিলেন লাল হলুদ সমর্থকেরা।
এদিন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের সঙ্গে ইমামি ইস্টবেঙ্গলর দলের শক্তি🙈কেও তুলে ধরেছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখতে থাকেন ৭০ কোটি টাকার দল এভাবে হারল। এর জবাবে অবশ্য মোহনবাগান সমর্থকেরা বলেছেন যে, দল এএফসির জন্য সাবদানে খেলেছে তাই এমন ফল হয়েছে। যদি সামনে এএফসি কাপ না থাকত তাহলে এন ফল হতেই পারত না। এমন ভাবেই সোশ্যাল মিড﷽িয়াতে লাল হলুদ সমর্থকেরা মোহনবাগান সমর্থকদের এক হাত নিয়েছে।
ম্যাচের কথা বললে এদিনে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করেন মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আর্মান্দো সাদিকু ও হুগো বোমাসের পরিবর্তে মাঠে নামেন অজি বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স ও গত মরশুমের নায়ক দিমিত্রি পেত্রাতোস। এরপরেই ম্যাচের ৬০ মিনিটে ডান দিক থেকে বল নিয়ে উঠে যান নন্দকুমার সেকর। হঠাৎই গতি বাড়ান।🌃 সামনে ছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা। বলটা ডান পা থেকে বাঁ পায়ে নেন। বক্সের ডান দিকে অনিরুদ্ধর সামনে থেকেই কোনাকুনি শট নেন। অসাধারণ গোল করে দলকে জেতান নন্দকুমার। মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথের কাছে গোল রক্ষা করার কোনও সুযোগই ছিল না। এক গোলে এগিয়ে থেকে বেশ কিছুটা আত্মবিশ্বাস পায় ইস্টবেঙ্গল। এদিনের জয়ের ফলে ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে লাল হলুদ সমর্থকেরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।