শুভব্রত মুখার্জি: শনিবাসরীয় সন্ধ্যায় কার্যত আই লিগের 'ফাইনালে' মুখোমুখি হয়েছিল গোকুলাম কেরালা এবং মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মহামেডানের কাছে হাতছানি ছিল তাদের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবার আই লিগের খেতাব জেতার। আর কেরালার কাছে সুযোগ ছিল প্রথম দল হিসেবে আই লিগের ট্রফি রিটেন করার। ম্যাচে মহামেডানকে ২ꦡ-১ ফলে হারিয়ে গোকুলাম কেরালা সেই নজির গড়ে দে🧜খাল।
প্রসঙ্গত গোকুলামের এই নজির নিয়ে অনেকের মধ্যে দ্বিমত থাকতে পারে। অনেকের মতে গোকুলাম নয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রথমবার এই নজির গড়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছিল। উল্লেখ্য ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ২০০২-০৩ মরশুমে শিরোপা জেতার পরবর্তীতে সেই শিরোপা রিটেন করেছিল ২০০৩-০৪ মরশুমে। তবে তখন জাতীয় লিগের নাম ছিল ন্যাশনাল ফুটবল লিগ। পরবর্তীতে যার নাম পাল্টে রাখা হয় আই লিগ। সেইদিক থেকে বিচা♎র করলে গোয়ার ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাবের ꦆদখলে রয়েছে আরেক বিরল নজির। তারা ন্যাশনাল ফুটবল লিগের একেবারে শেষতম সংস্করণ এবং আই লিগের প্রথম সংস্করণ জেতা ক্লাব।
শনিবাসরীয় রাতে যুবভারতীতে দুই দলের সমর্থকদের আবেগ, উৎসাহ, উন্মাদনা ছিল দেখার মতন। মাঠে সমর্থকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্টিম্যাচ। ছিল এটিকে মোহনবাগান দল এবং বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস দলের ফুটবলাররা। ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দল ম্যাচ জেতার জন্য মরিয়াভাবে ঝাপায়। ৪৯ মিনিটে দূরপাল্লার শটে এক দুরন্ত গোল করে কেরালাকে এগিয়ে দেন রি🏅শাদ। ৫৭ মিনিটে সেই গোল মহামেডানের হয়ে শোধ করেন আজহারউদ্দিন মল্লিক। তবে সমতায় আসার চার মিনিটের মাথাতে ৬১ মিনিটে ফের গোল করে এগিয়ে যায় কেরালা। শেষ পর্যন্ত এমিল বেনীর করা এই গোল দুই দলের মধ্যে ফারাক গড়ে দেয়। গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল গোকুলাম কেরালা তাদের শিরোপা ধরে রাখতে সক্ষম হয়। ১৮ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে দিগ শেষ করে কেরালা। সেখানে মহামেডানের ঝুলিতে ছিল ৩৭ পয়েন্ট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।