৫ উইকেটে ১৯১ রান ছিল ভারতের। সেখান থেকে ২১৭ রানে পৌঁছতে পড়ল আরও চার উইকেট। বাংলাদেশের দেওয়া ২২৬ রানের লক্ষ্য তাড়⭕া করতে নেমে রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যের মুখে পড়ে ভারতের মেয়েরা। সেখানে থেকে শেষ উইকেটে লড়াই চালাচ্ছিলেন মেঘনা সিং, জেমিমা রডরিগেজ। শেষ ওভারে জিততে তিন রান দরকার ছিল। প্রথম ২ বলে দু'রান হলেও, তৃতীয় বলে আউট হয়ে যান মেঘনা। ২২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ম্যাচটি টাই হয়ে যাওয়ায়, সিরিজও ড্র হয়। কারণ প্রথম দু'টি ওডিআই-এর একটি করে জিতেছিল বাংলাদেশ এবং ভারত।
শনিবার টಌস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। টাইগারদের ওপেনিং জুটি শুরুটা দুরন্ত করে। প্রথম উইকেটে শামিমা সুলতানা এবং ফারজানা হক ৯৩ রানের পার্টনারশিপ করেন। শামিমা হাফসেঞ্চুরি করে আউট হয়ে যান। স্নেহ রানার বলে হরমনপ্রীত কৌর তাঁর ক্যাচ ধরেন। ৫টি চারের সৌজন্য ৭৮ বলে ৫২ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলেন শামিমা। তবে আর এক ওপেনার ফরজানা কিন্তু শক্ত হাতে হাল ধরে রাখেন।
ভারতের যাবতীয় প্রতিরোধ পার করে ইতিহাস লিখে ফেললেন ফরজানা। প্রায় দুই যুগ পর বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির কীর্💟তি গড়লেন ফরজানা হক। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে-তে ১৫৬ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ফরজানা। ১৯৯৯ সালে জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে খেলা মেহরাব হোসেন ১০১ রান করেছিলেন। এটি ছিল ওয়ানডജেতে বাংলাদেশের মেয়েদের করা প্রথম সেঞ্চুরি। ২৪ বছর পর বাংলাদেশের কোনও মহিলা ক্রিকেটার ওডিআই-এ ফের সেঞ্চুরি করলেন।
দꩵেশের হয়ে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির দিনে আরও একটি কীর্তি গড়ার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন ফরজানা। উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবে নেমে উইকেটে টিকে ছিলেন ৫০তম ওভার পর্যন্ত। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হয়ে যাওꦛয়ায় অপরাজিত থেকে ফিরতে পারেননি। আউট হওয়ার আগে ১৬০ বলে ৭টি চারের হাত ধরে তিনি করেন ১০৭ রান। তাঁর সেঞ্চুরির দৌলতে বাংলাদেশ দু'শো রানের গণ্ডি সহজেই টপকে যায়। নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করে ২২৫ রান।
আরও পড়ুন: ৯ বছরেও ফাঁড🌃়া কাটল না, ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে ফের রানআউট ক꧒োহলি
এছাড়া নিগারা সুলতানা ৩৬ বলে ২৪ করেন।ꦚ ২২ বলে ২৩ করে অপরাজিত থাকেন শোভনা মোস্তারি। ভারতের হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন স্নেহ রানা। এক উইকেট নিয়েছেন দেবীকা♌ বৈদ্য।
এদিকে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। দলের ১১ রানের মাথায় পড়ে প্রথম উইকেট। দ্বিতীয় উইকেট পড়ে দলের ৩২ রানের মাথায়। ওপেন করতে নেমে মারুফা আক্তারের বলে শেফালি বর্মা ৩ বলে ৪ করে বোলারকেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তিনে নেমে যস্তিকা ভাটিয়া ৭ বলে ৫ রান করে সুলতানা খাতুনের বলে এলবিডব্লিউ হন। চারে নেমে হরলিন দেওয়াল সঙ্গত করেন স্মৃতি মন্ধানাকে। তৃতীয় উইকে♌টে স্মৃতি এবং হরলিন মিলে স্কোরবোর্ডে ১০১ রান যোগ করেন।
স্মৃতি এবং হরলিন যখন ব্যাট করছিলেন, তখন মনে হয়েছিল ম্যাচটি ভারত সহজেই বের করে নেবে। কিন্তু এর পরেই শুরু হয় ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়। দলের ১৩৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন স্মৃতি। ৮৫ বলে ৫৯ রান করে ফাহিমা খাতুনের বলে শোভনাকে ক্যাচ দ๊েন স্মৃতি। তাঁর ইনিংসে ছিল ৫টি চার। ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর পাঁচে ব্যাট করতে নেমে বেশীক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। মাত্র ১৪ রান (২১ বলে) করে আউট হন তিনি। তবে আউট হওয়ার পর মাথা গরম করে বিতর্কে জড়িয়েছেন হরমন।
আরও পড়ুন: PCB-কে ডজ দিয়ে আগেভাগেই Asia𒆙 Cup-এর সূচি প্রকাশ জয় শাহের, রাগে ফুঁসছে পাকিস্তান
ভারতের ইনিংসের ৩৩.৪ ওভারে নাহিদা আখতারের বলে সুইপ মারতে যান। কিন্তু পায়ের ঠিক কাছে বলটা পড়ে স্লিপের দিকে চলে যায়। স্লিপে বলটা তালুবন্দি হওয়ার মধ্যেই আউটের জন্য জোরালো আবেদন করেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার। আব🗹েদনের ভঙ্গিমায় যেন ঝড়ে পড়ছিল উচ্ছ্বাস। সেলিব্রেশনের ভঙ্গিমায় ছিলেন নাহিদা। আউটও দিয়ে দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। তারপরই তুমুল রেগে যান হরমন। রেগে গিয়ে ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন। আম্পায়ারের দিকে উত্তেজিত ভাবে কিছু বলতে-বলতে মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দর্শকদের ‘থাম্বস আপ’ দেখান হরমন। যে ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। ব্যাটের দিকে দেখিয়ে কিছু ইঙ্গিতও করছিলেন হরমন। অনেকের ধারণা, হরমন বোঝাতে চাইছিলেন যে, বলটা ব্যাটে লেগেছে। এলবিডব্লুউ হয়নি। তাতেও অবশ্য হরমনের আউট হওয়ার কথা। কারণ স্লিপে বলটা তালুবন্দি করে নেয় বাংলাদেশ। অর্থাৎ ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নেওয়া হলেও, তাঁকে ড্রেসিংরুমে ফিরতেই হত।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।