শুভব্রত মুখার্জি: বিশ্বের যে কোন প্রান্তে যে কোন ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ২৯ রান প্রয়োজন হলে পাল্লা অনেকটাই ভারী থাকে বোলিং দলের। তবে রবিবার গুজরাটের আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে যেন এক অন্য ইতিহাস লেখা হল। যেখানে পরপর পাঁচ বলে পাঁচটি ছয় হাঁকিয়ে কেকেআরকে এক অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন রিঙ্কু সিং। একদিকে যখন রিঙ্কু হয়ে উঠলেন নায়ক, তখন অন্যদিকে খলনায়ক হয়ে গিয়েছেন গুজরাট টাইটানসের বাঁহাতি পেসার যশ দয়াল। ম্যাচ শেষেও যেন অবিশ্বাসের ঘোর কাটছিল না যশের। মাঠেই দু হাতে মুখ ঢেকে বসে পড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ ডাগ আউটে তাঁকে একা বসে থাকতে দেখা যায়। বিষয়টি যে শুধু যশের একার উপর প্রভাব ফেলেছে তা নয়। গোটা পরিবার যেন এক অদ্ভুত🃏 নিস্তব্ধতার মধ্যে ডুবে গেছে। যশের বাবা চন্দ্রপাল দয়াল জানিয়েছেন রবিবারের দিনটা তাদের গোটা পরিবারের কাছে ছিল একটা দুঃস্বপ্নের রাত। যশের মা গোটা রাত না খেয়ে কাটিয়েছেন। আর অন্যদিকে শোকস্তব্ধ যশকে সামলেছেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।
আরও পড়ুন… ১৯ বলে ৬২ রান! IPL 2023-এ দ্রুততম হাফ সেঞ্চুর꧙ি সহ এক🎉াধিক নজির গড়লেন নিকোলাস পুরান
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চন্দ্রপাল দয়াল জানিয়েছেন, ‘গতকালটা আমাদের গোটা পরিবারের কাছে ছিল একটা দুঃস্বপ্নের রাত।’ যশের নিউট্রিশনিস্ট বোন সুচি দয়াল ওই দিন তার মায়ের দেখাশোনা করেছেন। এতটাই মুষড়ে পড়েছিলেন যশের মা। চন্দ্রপাল দয়াল আরও জানিয়েছেন, ‘খেলাতে এইরকম মুহূর্ত আসবে। কঠিন সময় আসবেꩵ। এমনকি জীবনেও তো আমরা ব্যর্থতার মুখোমুখি হই। এইসব মুহূর্তে শক্ত থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন… IPL-এ দশ♉ম উইকেটে সর্বাধিক রানের পার্টনারশিপের♔ নজির গড়ল ধাওয়ানের পঞ্জাব কিংস
গুজরাট টাইটানস অধিনায়ক হার্দিকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চন্দ্রপাল দয়াল। তিনি জানিয়েছেন, ‘হোটেলে ফিরে যাওয়ার পরে সকলেই যশকে মাঝে বসিয়ে রেখে ওঁকে সান্ত্বনা দেয় বিশেষ করে হার্দিক পান্ডিয়া। ও সবসময় ছেলেক👍ে উৎসাহ দিয়েছে। পরবর্তীতে যশ🅰ের মন ভালো করতে নাচ, গানেরও আয়োজন করা হয়। পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত যেন কিছুটা হাল্কা হয়। রাতে আমিও যশকে ফোন করেছিলাম। আমাকে ও জানিয়েছে বল হাত থেকে স্লিপ করছিল। সে দিন রাতে যশ বলে সঠিক গ্রিপ পাচ্ছিল না। ‘ব্যাক অফ দ্য হ্যান্ড’ স্লোয়ার বলও করার চেষ্টা করে যশ। সেটাও সে দিন ঠিকভাবে হয়নি। হয়তো যশের বোলিং স্টাইলের সঙ্গে রিঙ্কুর পরিচিতি থাকায় যশের আরও অসুবিধা হয়ে যায়। কারণ ওই পরিস্থিতিতে রিঙ্কু জানত ওঁকে সব বলে মারতেই হবে। কারণ ওরা দুজনেই দুজনকে খুব ভালোভাবে চেনে। ওই দিনটা যশের ছিল না। এটা মেনে নিতে হবে। অনেক বড় বড় ক্রিকেটার (চেতন শর্মা) এমন মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে গেছেন। ক্রিকেটার হিসেবে যশের ঈশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতা রয়েছি। আমি শুধু ওঁকে মানসিকভাবে শক্ত করেছি মাত্র।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।