শুভব্রত মুখা🔯র্জি: আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে এক শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের সাক্ষী থাকল দর্শকরা। ম্যাচের শেষ ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এক শ্বাসরুদ্ধকর জয় ছিনিয়ে নিলেন তাদের বাঁহাতি ব্যাটার রিঙ্কু সিং। রিঙ্কুর শেষ ওভারের বিধ্বংসী ব্যাটিং মনে করিয়ে দিল কার্লোস ব্রাথওয়েটকে।২০১৬ সালে ইডেন গার্ডেন্সে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালের শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকসকে পরপর চার বলে চারটি ছয় মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ব্রাথওয়েট। আর এ দিন পরপর পাঁচটি ছয় মেরে কেকেআর-এর হয়ে অনবদ্য জয় ছিনিয়ে আনেন রিঙ্কু সিং। একদিকে যখন রিঙ্কু ভাসলেন সাফল্যের সাগরে, তখন অন্যদিকে লজ্জার অন্ধকারে কার্যত ডুবে যেতে হল গুজরাট টাইটানসের বাঁহাতি পেসার যশ দয়ালকে। আ🌱ইপিএলের ১৬ বছরের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বাধিক রান দেওয়া দ্বিতীয় বোলার হওয়ার লজ্জার নজির গড়লেন যশ দয়াল।
আরও পড়ুন… ভুললেন বেঙ্কটেশের ইনিংস! ম্যাচ জཧয়ের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব রিঙ্কুকেই দিলেন নাইট ক্যাপ্টেন নীতিশ রানা
আইপিএলের ইতিহাসে এই লজ্জার নজির রয়েছে বাসিল থাম্পির দখলে। ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে আরসিবির বিরুদ্ধে খেলার সময়ে ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৭০ রান দিয়েছিলেন বাসিল থাম্পি। এ দ💦িন আমদাবাদে কেকেআর -এর বিরুদ্ধে গুজরাটের হয়ে খেলার সময়ে ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৯ রান দিলেন যশ দয়াল। তিন নম্বরে রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন পেসার ইশান্ত শর্মা। ২০১৩ সালে হায়দরাবাদে সানরাইজার্সের হয়ে খেলার সময়ে সিএসক -এর বিরুদ্ধে চার ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান দিয়েছিলেন ইশান্ত শর্মা। ২০১৯ সালে আফগান বোলার মুজিব উর রহমান হায়দরাবাদের মাঠে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে খেলার সময়ে ৪ ওভারে বিনা উইকেটে দিয়েছিলেন ৬৬ রান। ২০১৩ সালে দিল্লিতে তৎকালীন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে খেলার সময়ে আরসিবির বিরুদ্ধে ৪ ওভারে বিনা উইকেটে দিয়েছিলেন ৬৫ রান।
আরও পড়ুন… কোচ বলেন যে কোনও দিন আ▨মরা ২০০▨ রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে পারি: বেঙ্কটেশ আইয়ার
এ দিনের ম্যাচে আমদাবাদে প্রথমে ব্যাট করে গুজরাট দল। ৪ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা করে ২০৪ রান। দুরন্ত ইনিংস খেলে ২৪ বলে ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন বিজয় শঙ্কর। পাশাপাশি সাই সুদর্শন ও করেন ৫৩ রান। কলকাতার হয়ে ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সুনীল নারিন। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে হাতে তিন উইকেট নিয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় কেকেআর। ত♚াদের হয়ে ৪০ বলে ৮৩ রান করে জয়ের ভিত গড়ে দেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। রশিদ খানের হ্যাটট্রিকে কেকেআর কিছুটা বেসামাল হলেও শেষ ওভারে পরপর পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে ২১ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন নাইটদের রিঙ্কু সিং।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।