শুধু গোল্ড মেডেল জেতাই নয়, বরং পাকিস্তানের আরশাদ নদিম প্য়ারিসে অলিম্পিক্স রেকর্ড গড়ে চমকে দেন। অর্থাৎ, এর আগে অলিম্পিক্সের আসরে যা কেউ কখনও করে দেখাতে পারেননি, পাক তারকা ঠিক তেমনই কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আরশাদ প্যারিস অলিম্পিক্সে রেকর্ড গড়ার দিনে নাকি পুরোপুরি ফিট ছিলেন না।
চোট নিয়ে প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছেন আরশাদ, এমন চমকে দেওয়া তথ্য সামনে আনলেন পাক তারকা নিজেই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরশাদ খোলসা করেন যে, কীভাবে তাঁর কোচ ও ডাক্তার তাঁকে ইভেন্টের সময়ে মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত করেছিলেন।
নদিম বলেন, ‘কল রুমে যাওয়ার ৫ মিনিট আগে আমি যন্ত্রণা অনুভব করি। সেকথা আমি কোচকে জানাই। উনি বলেন, কিচ্ছু হবে না। তুই তো একটা বাঘ।’
পাক তারকা আরও জানান, তিনি কখন চোট পেয়েছিলেন এবং কীভাবে কাউকে কিছু না জানিয়ে চোট নিয়েই অলিম্পিক্স খেলতে গিয়েছিলেন। নদিমের কথায়, ‘২১ জুলাই পঞ্জাব স্টেডিয়ামে অনুশীলনে সময় জ্যাভেলিন ছুঁড়তে গিয়ে চোট পাই। ২৪ জুলাই আমাদের প্যারিস উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। আমরা এই বিষয়ে কাউকে কিছু জানাইনি।’
পরক্ষণেই ইভেন্টের সময় ঠিক কী ঘটেছিল, সেটাও জানান নদিম। তিনি বলেন, ‘প্রথম থ্রোয়ের সময়েও ব্যাথা অনুভব করি। ডাক্তার আমাকে কিছু ওষুধ দেন। আমি বলি যে, এতে কোনও কাজ হবে বলে তো মনে হয় না। তখন উনি বলেন, আরে তুমি তো বাঘ। কোচ এবং ডাক্তার, উভয়েই আমাকে একই কথা বলেন।'
উল্লেখ্য, প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে পাকিস্তান একটি মাত্র পদক জেতে। সেটি আরশাদ নদিমের হাত ধরেই। ছেলেদের জ্যাভেলিন থ্রোয়ে অলিম্পিক্স রেকর্ড গড়ে গোল্ড মেডেল গলায় ঝোলান আরশাদ। ফাইনালে নদিম ৯২.৯৭ মিটার দূরে জ্যাভেলিন নিক্ষেপ করেন। এটি আরশাদের কেরিয়ারের ব্যক্তিগত সেরা পারফর্ম্যান্স।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।