প্রদোষ রঞ্জন পালের দুর্দান্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্সের উপর সওয়ার হয়ে, বাবা অপরাজিতদের 🎉এ🔴কটি সুশৃঙ্খল বোলিং পারফরম্যান্সের হাত ধরে চিপক সুপার গিলিস ৫২ রানে হারিয়ে দেয় সালেম স্পার্টানসকে। তবে এই ম্যাচে সবচেয়ে বড় বিষয় যেটি ঘটেছে, সেটি হল গিলসের ইনিংসের শেষ বলে ১৮ রান।
নিশ্চয়ই ভাবছেন বিষয়টি কী? বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত অশ্চর্যের। গিলসের ইনিংসের শেষ বলে হয়েছে মোট ১৮ রান। শেষ ওভারে বল করছিলেন অভিষেক꧙ তানওয়ার। স্ট্রাইকে ছিলেন সঞ্জয় যাদব। প্রথমে নো বল করেন অভিষেক। হয় ১ রান। পরের বলটিও নো হয়। সঙ্গে ফ্রি-হিটে হয় ছক্কা। মোট ৭ রান হয়। এর পরেরটিও নো হয়, সেই বলে হয় ৩ রান। তার পরেরটি হয় ওয়াইড। সেই বলে নিয়ম মেনে ১ রান হয়। এর পরের বলটিতে নো বা ওয়াইড হয়নি। তবে সঞ্জয় শেষ বলে ছক্কা মারেন। ইনিংসের এই শেষ বলে হয় মোট ১৮ রান। আগের পাঁচ বলে হয়েছিল মোট ৮ রান। এই ২০তম ওভারে হয় মোট ২৬ রান। সেই সঙ্গে ২১৭ রানে পৌঁছে যায় গিলস।
১৩ জুন, মঙ্গলবার, তামিলনাড়ু প্রিমিয়া🌳র লিগের সপ্তম সংস্করণে সালেম স্পার্টানস এবং চার বারের চ্যাম্পিয়ন চিপক সুপার গি🔯লিসের মধ্যে উত্তেজনার ম্যাচ হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু চিপক ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে সহজ জয় ছিনিয়ে নেয়।
মঙ্গলবার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিল গিলিস। শুরু থেকেই তারা আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল। প্রথম উইকেটেই ৯.১ ওভারে ৯১ রান করে ফেলে চিপক সুপার গিলিস। এর পর তারা দু'শো রান🌸ের গণ্ডিও টপকে যায়। চিপককে ২০০-র গণ্ডি টপকাতে সাহায্য করেছেন প্রদোষ রঞ্জন পাল। তামিলনাড়ুর জার্সিতে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা প্রদোষ ওপেন করতে নেমে ৫৫ বলে ৮৮ রানের ঝোড়ে একটি ইনিংস খেলেন। মূলত তাঁর ইনিংসে ভর করে🌜ই দু'শো রানে পৌঁছানোর ভিত নির্মাণ করে চিপক সুপার গিলিস।
আর⭕ও পড়ুন: অশ্বিনের মতো করে অদ্ভূত ভাবে কাউকে বাদ পড়তে হয়নি- কোহলি, শাস্ত্রীও ঝাড় খেলেন গাভাসকরের
গিলিসের আর এক ওপেনার নারায়ণ জগদীশান ২৭ বলে ৩৫ রান করেছেন। এ ছাড়া বাবা অপরাজিত ১৯ বলে ২৯ করেছেন। তবে শেষ পাতে সঞ্জয় যাদব ১২ বলে অপরাজিত ৩১ রান করে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২১৭ রানে পৌঁছে দেন গিলিসকে। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেটে বিশাল স্কোর করে সালেমকে চাꦦপে ফেলে দেয় গিলিস। সালেমের হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন সানি সান্ধু।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৫ রান করে সালেম। নয়ে ব্যাট করতে নেমে মহম্মদ আদনান খান ১৫ বলে ঝোড়ো ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। সালেমের হয়ে সে ভাবে হাল আর কেউ ধরতে পারেননি। ওপেন করতে নেমে আকাশ সুমরা ২৭ বলে ২৪ রান করেছিলেন। এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ ছাড়া ২০ বলে ২৩ করেন কৌশিক গান্ধী। ১৪ বলে ১৯ করেন সানি সান্ধু, ১৪ বলে ১৭ করেছেন এস অরবিন্দ, মোকিত হরিহরণ ১𒊎২ বলে ১৪ করেন। গিলিসের বোলাররা দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন। বাবা অপরাজিত, রকি ভাস্কর, এম ভিজু আরুল নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। শেষ পর্যন্ত গিলিসকে ৫২ রানে হারিয়ে দেয় সালেম।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।