বিজ্ঞানকেও ভুল প্রমাণিত করেছে সমুদ্রের গভীর অন্ধকার। বিজ্ঞানীরা এতদিন ধরে বিশ্বাস করে আসছেন যে সূর্যের আলো ছাড়া অক্সিজেন তৈরি করা হয় না। এমন পরিস্থিতিতে, অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে সূর্যের আলো ছাড়াই। এমনটাই আবিষ্কার কর🥃েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশ, যেখানে সূর্যালোক পৌঁছোতে পারে না, সালোকসংশ্লেষণ অসম্ভব, সেখানেই প্রচুর পরিমা👍ণে অক্সিজেন উৎপন্ন হচ্ছে।
ডার্ক অক্সিজেন কী এবং কোথা থেকে আসছে
সোমবার, নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার যাবতীয় তথ্য। সেখানেই দেখা গিয়𓃲েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ১৩,১০০ ফুট নীচে সম্পূর্ণ অন্ধকারে অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে। এত অন্ধকারে এটি তৈরি হওয়ার জন্য এর নাম দেওয়া হয়েছে ডার্ক অক্সিজেন। ঘটনাটি দেখে বিস্মিত, স্ক্রিপস ইনস্টিটিউশন অফ ওশেনোগ্রাফির জৈবিক সমুদ্রবিজ্ঞানের ইমেরিটাস অধ্যাপক লিসা লেভিন বলেছেন যে এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন এবং অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার।
আরও পড়ুন: (Wiz: গুগলের ১৭ লক্ষ কোটি টাকার๊ অফার নাকচ করল এই ইজরায়েলি সংস্থা)
এতদিন মনে করা হত যে পৃথিবীতে অক্সিজেন গ্যাস সাধারণত জীবিত প্রাণী থেকে উদ্ভূত হয়। সূর্যের আলোই একমাত্র, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জলকে অক্সিজেন এবং চিনিতে রূপান্তরিত করে। কিন্তু এই গবেষণা দেখে বোস্টন ইউনিভার্সিটির একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট এবং নেচার জিওসায়েন্সে সোমবার প্রকাশিত গবেষণার সহ-লেখক জেফ্রি মার্লো জানিয়েছেন যে এই নির্জীব খ🦹নিজ থেকে বেরিয়ে আসা এমনও কিছু গ্যাস রয়েছে, যা সম্পূর্ণ অন্ধকারেই তৈরি হয়। এটি আসলে অক্সিজেন কোথায় এবং কিভাবে গঠিত হয় সে সম্পর্কে প্রচলিত চিন্তাধারার সম্পূর্ণ বিপরীত।
গবেষণার সহ-লেখক অ্যান্ড্রু সুইটম্যান আবার বলেছেন যে এই গবেষণাটির মাধ্যমে 🎀এটা দেখা যায় যে সালোকসংশ্লেষণ ছাড়াও আমাদের গ্রহে অক্সিজেনের আরও একটি উৎস রয়েছে। কিন্তু এটি পৃথিবীতে জীবনের শুরু সম্পর্কে একটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। একই বিষয়ে সহমত হয়ে ওডেন্সের ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ডেনমার্কের বায়োজিওকেমিস্ট ডোনাল্ড ক্যানফিল্ড খানিকটা হতাশ হয়েই বলেছেন, এটি অনেক প্রশ্ন তুলে ধরဣে ঠিকই, কিন্তু কোনও উত্তর দেয় না।
আরও পড়ুন: (Chandrayaan 3: বিশ্ব মহাকাশ পু൲রস্কার পাবে ISRO, চন্দ্রযান-৩ সফল হওয়ায় ভারতের নতুন রেকর🌠্ড)
মূলত, মহাসাগরীয় প্লাঙ্কটন, প্রবাহিত উদ্ভিদ, শৈবাল এবং কিছু ব্যাকটেরিয়া হল সাগরে অক্সিজেন উৎ꧂পাদনের জন্য দায়ী প্রাথমিক উপাদান। এই সমস্ত জীব সালোকসংশ্লেষণ করতে সক্ষম। এর অর্থ হল গভীর সমুদ্রের ক্ষেত্রে সূর্যালোকের অভাব তাদের অক্সিজেন উৎপাদন করতে বাধা দেবে। কিন্তু গবেষণায় বলা হয়েছে যে কয়লার🍌 স্তূপের মতো একটি ধাতু থেকে অক্সিজেন বের হয়। তারা এইচ২ও অণুকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনে বিভক্ত করে। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে, উদ্ভিদ দ্বারা অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে না।
কী কী প্রশ্ন উঠছে
গবেষণার সহ-লেখক অ্যান্ড্রু সুইটম্যান আরও বলেছেন যে পৃথিবীতে বায়বীয় জীবনের শুরুর জন্য অক্সিজেন প্রয়োজনীয় ছিল। এরপর থেকেই অক্সিজেন সরবরাহ হয়ে আসছে সালোকসংশ্লেষিত জীবের মাধ্যমে। কিন্তু এখন নতুন গবেষণা থেকে বেরিয়ে📖 আসা এ🙈ই ডার্ক অক্সিজেনের উৎপত্তি কীভাবে সম্ভব? জীবনের শুরু কোথা থেকে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা জরুরি। আবার এটাও আশ্চর্যজনক বিষয় যে পৃথিবীর অর্ধেক অক্সিজেন আসে সমুদ্র থেকেই।
আরও পড়ুন: (Viral: একাকীত্ব কাটাত💛ে অটো চালান বেঙ্গালুরুর মাইক꧙্রোসফট ইঞ্জিনিয়ার!)
২০১৩ সালে ফিল্ডওয়ার্কে🦩র সময় অনুরূপ একটি ঘটনা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেই সময়ে, গবেষকরা ক্লারিওন-ক্লিপারটন জোনে সমুদ্র-তলের ইকোসিস্টেম অধ্যয়ন করছিলেন, এই এলাকাতেই সম্ভবত ধাতু-সমৃদ্ধ নোডুলস খনির ছিল। কিন্তু তখন বিজ্ঞানীরা এই দিকে গুরুত্ব দেননি। তাই এদিন সুইটম্যান বলেছিলেন, আমি হঠাৎ বুঝতে পেরেছি যে আট বছর ধরে আমি সমুদ্রের তলদেশে ৪,০০০ মিটার নীচে এই সম্ভাব্য আশ্চর্যজনক নতুন প্রক্রিয়াটিকে উপেক♋্ষা করছিলাম।