জিএসটির বোঝায় মাথায় হাত অনলাইন গেমিং স্টার্টআপ মোবাইল প্রিমিয়াম লিগ। কেন্দ্রীয় সরকার অনলাইন গেমিং সংস্থাগুলির ওপর ২৮ শতাংশ জিএসটি বসিয়েছে। একেই অর্থনৈতিক সংকটের পরিস্থিতি, তার ওপর সরকারের করের বোঝায় নাজেহাল অনলাইন গেমিং সংস্থা ও স্টার্টআপগুলি। বিভিন্ন সংস্থা সরকারের কাছে এই বিপুল পরিমাণ জিএসটি কমানোর আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। সরকꦿার বিষয়টি ৬ মাস পর বিবেচনা করার আশ্বাস দেয়। ২৮ শতাংশ জিএসটির বোঝা নিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন বেশ কয়েকটি অনলাইন গেমিং সংস্থা ও স্টার্ট আপ।
কোম্পানিগুলির ক্ষতির মাসুল দিতে হচ্ছে অধিনস্ত কর্মচারীদের। সম্প্রতি জিএসটি’র কোপেဣ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনﷺলাইন গেমিং ও ইস্পোর্টস স্টার্টআপ ‘মোবাইল প্রিমিয়াম লিগ’ সংস্থার প্রায় অর্ধেক কর্মী। চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবার এই সংস্থার অর্ধেক কর্মী, প্রায় ৩৫০ জনকে ছাঁটাই করেছে এই গেমিং সংস্থা। কিন্তু কেন এই ছাঁটাই? কোম্পানির ক্ষতির রাশ টানতেই এই পথে হেঁটেছে এমপিএল।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চ✅াওয়া হলে এমপিএল সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা সাই ﷺশ্রীনিবাস জানালেন, ‘নয়া নীতির ফলে কোম্পানির ওপর করের বোঝা আচমকা ৩৫০-৪৫০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ব্যবসা করতে এসে কোনও সংস্থা ৫০-১০০ শতাংশ কর বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত থাকে। কিন্তু এই বোঝাটা অনেকটাই বেশি। তাই কর্মী সঙ্কোচন করা ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় ছিল না।’
সংস্থার পক্ষ থেকে সাই শ্রীনিবাস এবং শুভ মালহোত্রা কর্মচারীদের ইমেলের মাধ্যমে জানিয়েছেন, নতুন নিয়মের কারণে সংস্থার করের বোঝা ৩৫০ শতাংশ থেকে ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই খরচ বহন করতে না পেরেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছু মাস আগেই এ𒈔মপিএল সংস্থাটি ইউনিকর্নের তকমা পেয়েছিল। কোনও স্টার্ট আপ সংস্থার মোট সম্পত্তি দশ লক্ষ ডলার বা তার বেশি হলে ইউনিকর্ন তকমা জোটে তাদের। এবার বড়সড় প্রশ্নের মুখেꦍ ছাঁটাই হওয়া কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ।
এমপিএল অবশ্য কোনও ব্যতিক্রম নয়, দেশজুড়েই অনলাইন গেমিং সংস্থাগুলি কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। একদিকে করের বোঝা কমানো যেমন উদ্দেশ্য, তেমনই সা🌺র্বিক ভাবে সংস্থার🐻 খরচ কমানোর জন্যও এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। কিন্তু এর ফলে কার্যত পথে বসেছেন বিপুল সংখ্যক কর্মী, যা দেশের বা অর্থনীতির জন্য মোটেই ভালো খবর নয়।