হাই কমিশন দেয় এমন নির্দিষ্ট কিছু সেলারদেরই বেশি বেশি প্রচার করে ই-কমার্স ওয়েবসাইটরা। এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণার সমতুল্য। বুধবার একটি পডকাস্টের আলোচনার সময়ে এমনটাই বলেন ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গোয়াল।'তাই কোনও ই-কমার্স সাইট যদি সর্বোচ্চ প্রিমিয়াম বা সর্বোচ্চ কমিশন পাওয়ার জন্য কোনও নির্দিষ্টি অ্যালগরিদম ব্যবহার করে এবং গ্রাহকদের নির্দিষ্ট দিকেই চালিত করে... আমি মনে করে সেটা খুবই ভুল কাজ। কারণ এটি কার্যত জনসাধারণের প্রতারণা করা হচ্ছে,' বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সম্প্রতি সরকার ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলির ব্যবসায়িক অনুশীলনের এই দিকটির উল্লেখ করেছিল। ফলে সেই পরিপ্রেক্ষিতে পীযূষ গোয়ালের এই বক্তব্য বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। এটি বন্ধ করার জন্য একটি স্ব-নিয়ন্ত্রক কাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্র।ই-কমার্স সাইটগুলির এই ধরনের অভ্যাসকে 'ডার্ক প্যাটার্ন' বলা হয়। এই ডার্ক প্যাটার্নের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেট ব্যবহাকারী গ্রাহকদের নির্দিষ্ট কোনও আইটেমের দিকে টেনে আনা হয়। যেমন, শপিং কার্টে কোনও আইটেম যোগ না করা সত্ত্বে তা নিজে নিজে যোগ হয়ে যাওয়া, চেক আউট করার সময় দাম পাল্টে যাওয়া, এমনকি ভুয়ো অফার দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা, ইত্যাদি কাজকর্মকে ডার্ক প্যাটার্ন বলে উল্লেখ করা হয়।'প্রত্যেক জিনিসেরই ভাল এবং খারাপ দিক রয়েছে... প্রতিটি কাজেই কয়েকজন অসত্ ব্যক্তি থাকবেন। আপনি কিছুতেই তাদের আটকাতে পারবেন না...অবশ্যই তারা যাতে সফল না হয়, সেটাই চাইবেন। আমরা আমাদের চারপাশে অনেককেই দেখতে পাচ্ছি, সেটা ব্যবসায় হোক বা রাজনীতি হোক বা আমলাতন্ত্র। প্রযুক্তি বিশ্ব সহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এমনটা হতে পারে,' মত পীযূষ গোয়াল বলেছিলেন।এর আগে সরকার ই-কমার্স ওয়েবসাইট, হোটেল এবং ভ্রমণ বুকিং প্ল্যাটফর্মের ভুয়ো কাজ এবং ভেরিফায়েড স্টার রেটিং চেক করার জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল।উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক ই-কমার্স সাইটে ভুয়ো এবং প্রতারণামূলক কার্যাবলী থেকে ক্রেতাদের রক্ষা করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম চালু করেছে। রেটিংয়ের সত্যতা, নির্ভুলতা, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা এবং অ্যাক্সেসযোগ্যতা নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়া হবে।