সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে পৃথিবীর আকাশে (বলা ভালো, পৃথিবী লাগোয়া মহাকাশে) ঘটনার ঘনঘটা চলছে তো চলছেই! সৌজন্যে একের পর এক গ্রহাণুর যাতায়াত। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের হাতে এখনও পর্যন্ত যত দূর খবর এসে পৌঁছেছে, সেই মোতাবক, চলতি 🔯মাসেই পৃথিবীর কাছাকাছি আসছে আরও দুই গ্রহাণু!
মহ♓াকাশের যে দুই মহাজগতিক অতিথি সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, তারা হল - ২০২০ জিই এবং ২০২৪ আরও১১। নাসা-এর জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির পক্ষ থেকে এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
এদের মধ্যে ছোট গ্রহাণুটি হল ২০২০ জিই। সর্বসাকুল্যে তার ব﷽্যাস মাত্র ২৬ ফুট। মানে সাধারণ একটি বাসের আকার ঠিক যতটা বড় হয়, এটি প্রায় ততটুকুই। শোনা যাচ্ছে, মহাকাশ যাত্রায় বেরিয়ে পৃথিবীর একটু বেশিই কাছাকাছি চলে আসবে এই গ্রহাণুটি। আমাদের সাধের নীল গ্রহকে পাশ কাটিয়ে যখন সে চলে যাবে, সেই সময় পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব হবে মাত্র ৪ লক্ষ ১০ হাজার মাইল।
মহাকাশ বা๊ মহাজাগতিক কর্মকাণ্ডের বিচারে এই দূরত্ব নেহাতই কম!
অন্যদিকে, ২০২৪ আরও১🌠১ নামক গ্রহাণুটির সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়েছে সদ্য♔। সেটি আকারে আগের জনের তুলনায় অনেকটাই বড়। তার ব্যাস প্রায় ১২০ ফুট। সাধারণ একটি যাত্রীবাহী বিমানের আকারও মোটামুটি এতটাই হয়।
সেই পেল্লায় শরীর নিয়েই স𒀰ে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। তবে, সতর্ক থাকতে বললেও এক্ষেত্রে চিন্তার খুব বেশি কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। কারণ, পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ২০২৪ আরও১১-এর সঙ্গে আমাদের সকলের আবাস্থলের দূরত্ব থাকবে প্রায় ৪৫ লক্ষ ৮০ হাজার মাইল। যা নিরাপদ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল ম💞হল।
এখন কথা হ🌸ল, এই যে দুই মহাজাগতিক অতিথি পৃথিবীর আকা🌊শে উঁকি দিয়ে যাবে বলে শোনা যাচ্ছে, যার জন্য বিজ্ঞানীরা সতর্কও করেছেন, তারা কি আদৌ আমাদের কোনও ক্ষতি করতে চলেছে?
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, না। এমন কোনও সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত অন্তত তাঁদের নজরে আসেনি। ওই দুই গ্রহাণু নির্বিঘ্নেই পৃথিবী𓄧র পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাবে বলেই জানিয়েছ🦩েন তাঁরা।
তবে, এমন খবরে বেজায় খুশি হয়েছেন সেইসব মানুষ, যাঁরা রাতের আকাশে চোখ লাগিয়ে নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহের স🌟ন্ধান করতে ভালোবাসেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ে, অর্থাৎ আগামী ♓২৪ সেপ্টেম্বর, তাঁরা যদি মহাকাশের দিকে টেলিস্কোপ তাক করে তাতে নজর আটকে রাখেন, তাহলে এক অসামান্য মহাজাগতিক দৃশ্য ও ঘটনার সাক্ষী হতে পারবেন।
এমনকী, এর পরদিন অর্থাৎ - ২৫ সেপ্টেম্বর রাতেও আকাশ পরিষ্কার থাকলে গ্রহাণু দর্শনের সম্ভাবনাꦕ বেশ উজ্জ্বল। কারণ, সেদিন পৃথিবীকে পাশ কাটিয়ে যাবে আরও একটি গ্রহাণু। নাম তার ২০২৪ আরকে৭। সে আকারে ২০২৪ আরও১১-এর থেকে কিছুটা ছোট। তার ব্যাস প্রায় ১০০ ফুট।
প্রসঙ্গত, গ্রহদের মতো এই গ্রহাণুরাও কোনও না কোনও নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করে চলে। এক্ষেত্রে কে♏ন্দ্রে থাকা সেই নক্ষত্রটি হল, আমাদের চিরপরিচিত সূর্য। বিরাট প্রস্তরখণ্ডের মতো দেখতে এই গ্রহাণুগুলি তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের ধাতব এবং খনিজ পদার🐭্থের দ্বারা। এরা মূলত অ্যাস্টেরয়েড বেল্টেই অবস্থান করে।
গ্রহাণুদের আকার ও আকৃতি নানারকমের হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এরা🐬 নিরাপদ দূরত্বে থেকে পৃথিবীর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। যদিও, কোনও কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশও করে। এদের বলা হয়, উল্কা। সাধারণত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ঘর্ষণের♔ ফলে সৃষ্ট উত্তাপে এগুলি পুড়ে যায়। সেই অবস্থাতেই ঝরে পড়ে ভূপৃষ্ঠে। যাকে আমরা জানি, উল্কাপাত হিসাবে!