Artemis 1 Launch: জ্বালানি ভরার সময়ে একের পর এক সমস্যা। ঝড়। তবে শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠভাবেই লঞ্চ হল। ১৬ নভেম্বর ভারতীয় সময় দুপুর ১২টা ১৭ নাগাদ ফඣ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে লঞ্চ হল NASA-র আর্টেমিস 1-এর।
পরিকল্পনামাফিক উৎক্ষেপণের প্রায় আট মিনিট পর, কোর স্টেজের ইঞ্জিনগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মূল স্টেজটি বাকি রকেট থেকে আলাদা হয়ে যায়। এর পর, ওরিয়ন মহাকাশযানটি ইন্টেরিম ক্রায়োজেনিক প্রপালশন স্টেজের (ICPS) মাধ্যমে চালিত হয়। নাসা এই ওরিয়ন মহাকাশযানের চারটি সোলার অ্যারেও কার্যকর করেছে। আরও পড়ুন: ফ্লোরিডায় হ্যারিকেন-তাণ্ডব! কবে মহ🌳াকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে নাসার 'মুন রকেট' Artemis 1?
এর আগে ১৪ নভেম্বর আর্টেমিস 1 মিশনের উৎক্ষেপণের কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় নিকোলের কারণে এটি স্থগিত করা হয়। SLS রকেট এবং ওরিয়ন মহাকাশযান ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে লঞ্চ কমপ্লেক্সে রেখে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে প্রবল ঝড়ের কারণে তার সা𝓰মান্য ক্ষতিও হয়েছিল। এর আগে রকেট এবং মহাকাশযানের বিভিন্ন সমস্যার কারণে মিশন পিছিয়েছিল নাসা। প্রথমবার লঞ্চের আগে RS-25 ইঞ্জিনের একটিতে লিকেজের সমস্যা দেখা দেয়। দ্বিতীয়বারও হাইড্রোজেন লিকের কারণে উৎক্ষেপণ বা💯তিল করা হয়।
তবে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত NASA-র গবেষক ও কারিগররা সমস্ত সমস্যার সমাধান করে ফেলন। আর্টেমিস 1 মিশনের SLS রকেটটি ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড 39B থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। ভারতীয় সময় রাত ২টো থেকে 'ট্যাঙ্কিং অপারেশন' শুরু হয়। এরপর দুপুর ෴১২.১৭ নাগাদ সফলভাবে লঞ্চ সম্পন্ন হয়।
আর্টেমিস 1
আর্টেমিস 1 একটি ক্রু-হীন চন্দ্রাভিযান। চাঁদ-প্রদক্ষিণ করা হবে এই মিশনে। নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের প্রথম অভিযান এটি। নাসার স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (SLS) রকেট এবং ওরিয়ন মহাকাশযানেরও প্রথম উড়ান। SLS রকেটটি বর্তমানে ♈বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট।
জানিয়েছে, আর্টেমিস I-এর মাধ্যমে চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহে মহাকাশচারী ꦆপ্রেরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে ধরা যেতে পারে। আগামিদিনে আরও জটিল বিভিন্ন মিশনের মাধ্যমে এই দুই মহাকাশ প্রা🍒ন্তে মানুষ পাঠাবে নাসা। তারই প্রস্তুতি চলছে। আর্টেমিস II-তে মহাকাশচারী থাকবেন।
কক্ষপথে পৌঁছ🐎নোর পর, ICPS একটি ট্রান্স-লুনার ইনজেকশন (TLI) বার্নের জন্য ইঞ্জিন চালু করেছে। এর মাধ্যমে ওরিয়ন মহাকাশযানটি এবং দশটি কিউবস্যাট চাঁদের গতিপথে পৌঁছে যাবে। ওরিয়ন তখন ICPS থেকে আলাদা হয়ে যাবে। এরপর ICPS স্টেজ অ্যাডাপ্টারটি দশটি কিউবস্যাট স্থাপন করবে। এগুলি বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং প্রযুত্তির পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কাজে লাগবে।
অন্ಌযদিকে মূল ওরিয়ন মহাকাশযানটি চাঁদের চারপাশে দূরবর্তী বিপরীতমুখী কক☂্ষপথে(DRO) পৌঁছে যাবে। সেখানে ৬ দিন কাটাবে। সব মিলিয়ে মহাকাশে প্রায় ৩ সপ্তাহ কাটাবে ওরিয়ন।
এরপর মিশনের ২০-২৬ তম দিনে এটি পৃথিবীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে। ২৬ তম দিনে এটি প্রশান্ত মহাসাগরে স্প্ল্যাশডাউন করার পরিকল্পনা। আরও পড়ুন: NASA༺'s Dart Altered Orbit of Asteroid: মহাকাশে অনন্য কীর্তি মানবজাতির, গ্রহাণুর কক্ষপথ বদলে সফল ‘ডার্ট’, জানাল NASA
ওরিয়ন মহাকাশযানে মানুষ নেই বটে। তবে তিনটি সেন্সর-ঠাসা ম্যানেকুইন রয়েছে। এর মাধ্যমে অভিযানের সময় ক্রু সদস্যরা কেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতেন, তার তথ্য পাওয়🍷া যাবে।