WhatsApp-এর নতুন প্রাইভেসি পলিসি :বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অনলাইন মেসেজিং অ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিতে আসছে রদবদল। গত বছরের শেষেই এই নয়া প্রাইভেসি পলিসির বিষয়ে ঘোষণা করেন নির্মাতারা। জানানো হয় যে এই নয়া নীতি Agree না করলে আর ব্যবহার করা যাবে না WhatsApp ।নয়া প্রাইভেসি পলিসির প্রকাশের পর অনেকেই এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাইভেসি ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা করেন অনেকে। কিন্তু, সকলকে আশ্বাস দিয়ে সংস্থা জানায়, নতুন নীতিতে ব্যবহারকারীদের কথোপকথন কখনই কোনও তৃতীয় ব্যক্তি বা সংস্থার হাতে পড়বে না।আগামী ১৫ মে পর্যন্ত নয়া নীতি অ্যাকসেপ্ট করার সময়সীমা দিয়েছে WhatsApp ।অন্যদিকে আমজনতার পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসির বিরুদ্ধে গত মাসে সরব হয় কেন্দ্রীয় সরকারও। এ বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আর্জিও জানায় কেন্দ্র। বলা হয়, ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় সংস্থার কাছে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।কিন্তু এর বিপক্ষেও যুক্তি দেন অনেকে। তাঁদের মতে, হোয়াটসঅ্যাপ তো ফেসবুকেরই অধীনস্থ সংস্থা। তাহলে সেই একই ছাতার তলায় বিভিন্ন অ্যাপের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান হবে। তাহলে তৃতীয় কোনও সংস্থার প্রশ্ন আসছে কোথায়? কেন্দ্রের যুক্তি, কোনও ব্যবহারকারীরা যখন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন, তিনি কেবল সেই অ্যাপের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন। সেটি বাদ দিয়ে অন্য যে কোনও সংস্থাই- যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম তৃতীয় সংস্থা (থার্ড পার্টি) হবে।গত বছরের শেষেই নতুন প্রাইভেসি পলিসি আনতে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু তুমুল সমালোচনার মুখে প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণের সময়সীমা ১৫ মে পর্যন্ত পিছিয়ে দেয় সংস্থা। তবে, এর মধ্যেও ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আবার ব্যবহারকারীদের কাছে রিমাইন্ডার পাঠাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। সেখানে বার বার ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত থাকবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এখনও এই ব্যাপারে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।