ভারতীয় পরিবারগুলির হেঁসেল খুঁজলে জোয়ান পাওয়া যাবে না এমন দুষ্কর। প্রাচীনকাল থেকেই এই জোয়ানের ব্যবহার হয়ে আসছে। সংস্কৃত ভাষায় একে ‘উগ্রগন্ধ’ বলা হয়, যা ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেলস ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। শুধু চিবিয়ে বা চায়ের সাথে মিশিয়ে খেলে এর উপকারিতা অনেক। কিন্তু এই জোয়ান খাওয়ার অনেক খারাপ দিক রয়েছে। তা জানা আছে কি?
আপনি যদি জোয়ান খেতে ভালোবাসেন, তাহলে সাবধান! অতিরিক্ত পরিমাণে জোয়ান খেলে প্রায়ই গ্যাস এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে পারে।
বমিভাব থাকলে অনেকসময়ই আমরা জোয়ান খেয়ে থাকি। কিন্তু এতে আছে থাইমল, যা মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাবকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
ফার্মেসি-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, জোয়ানের বীজে রয়েছে শক্তিশালী বায়োঅ্যাকটিভ, যা মুখের মধ্যে ঘা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে জ্বালা এমনকি মুখের মধ্যে আলসারও হতে পারে। এছাড়াও আপনি যদি গর্ভবতী হন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই জোয়ান এড়িয়ে চলতে হবে। এতে ভ্রূণের বিকাশে ক্ষতি করতে পারে।
শুধু তাই নয়, কাঁচা জোয়ানের অতিরিক্ত সেবনকে বিষাক্ত বলে মনে করা হয় কারণ এর ফলে শরীরে হতে পারে মারাত্মক বিষক্রিয়া
আপনার শরীরে যদি অস্ত্রপ্রচার করতে হয়, তাহলে অবশ্যই এটি এড়াতে হবে। ফার্মেসি রিপোর্ট বলে যে জোয়ান অস্ত্রোপচারের সময় এবং পরে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। অতএব, অস্ত্রোপচারের ২ সপ্তাহ আগে জোয়ান খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত জোয়ান সেবনে চামড়ার ক্ষতি করতে পারে। হতে পারে ব্রণ, ফুসকুড়ির মত সমস্যা