Hindustan Times
Bangla

স্বপ্ন না দুঃস্বপ্ন! মহাকাশে বসে কেমন অনূভব করেন মহাকাশচারীরা

মহাকাশচারীরা যখন মহাকাশে ঘুমান, ভাসতেই থাকেন। তাই তাঁরা ঘুমোনোর জন্য একটি স্লিপিং ব্যাগ ব্যবহার করেন, যাতে মহাকাশযানের চারপাশে ঘুমের ঘোরে ঘুরে না বেড়াতে হয়। 

মহাকাশে, চোখের জল পড়ে না। পরিবর্তে, জলের ফোঁটাগুলো ছোট বুদবুদ তৈরি করে চারপাশে ভেসে থাকে বা মহাকাশচারীদের চোখে লেগে থাকে।

 মহাকাশে, মাধ্যাকর্ষণ নেই। মহাকাশচারীরা ওজনহীন বোধ করেন। তাই তাঁদের দেহ এবং চারপাশের সবকিছু ভাসতেই থাকে।

গাড়িতে কিংবা সমুদ্রে বেড়াতে গেলে, যেমন অসুস্থ বোধ হয়, মহাকাশে গিয়ে মহাকাশচারীরা একইরকম অসুস্থ বোধ করেন।

পৃথিবীর তুলনায় অনেক বেশি সূর্য উদয় এবং সূর্যাস্ত  দেখতে পান মহাকাশচারীরা।

অনেক মহাকাশচারীই রিপোর্ট করেছেন যে মহাকাশে খাবারের স্বাদ আলাদা হয়।

মহাকাশে, মাধ্যাকর্ষণ না থাকায়, মহাকাশচারীরা ২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে যান। কারণ তাঁদের মেরুদণ্ড এই সময় এমনি এমনিই প্রসারিত হয়।

কোনও দিন-রাত্রির চক্র না থাকায়, মহাকাশচারীরা প্রায়ই সময়ের ট্র্যাক নির্ধারণ করতে পারেন না। তাই তাঁরা নির্দিষ্ট সময়সূচি ব্যবহার করেন।

স্বপ্ন না দুঃস্বপ্ন! মহাকাশে বসে এমন অনূভব করেন মহাকাশচারীরামহাকাশে বাথরুম করা কঠিন। কারণ মাধ্যাকর্ষণ শক্তিহীন এই পরিবেশে, এই ক্ষেত্রে বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়।

মহাকাশে চোখ বন্ধ করলেই, ধেয়ে আসে আলোর ঝলকানি। আসলে, এই সময় রেটিনার মধ্য দিয়ে যাওয়া মহাজাগতিক রশ্মির কারণে এমনটা ঘটে।