মুঘলদের এই বংশধর পর্তুগিজ বিধবার প্রেমে পড়েছিলেন, গল্পটা মজার
মুঘলরা ভারতে শুধু ঐতিহাসিক স্থাপত্য নির্মাণ করেননি, তাঁদের শাসন ব্যবস্থা সমগ্র দেশকে এক সুতোয় বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল।
কাবুল থেকে বাংলা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল মুঘলদের সাম্রাজ্য। সময় সময় মুঘল সম্রাটরা তাঁদের সাম্রাজ্য বিস্তার করতেন।
মুঘলদের শাসন আমলে অনেক বিদেশি ব্যবসায়ী এদেশে আসতেন। আকবরের সময় পর্তুগিজরা হুগলিতে বসবাস শুরু করে।
তবে জাহাঙ্গিরের সময় পর্তুগিজরা সেখানে দখল করতে শুরু করে। সম্রাট ক্ষুব্ধ হন এবং সমগ্র বসতি ধ্বংস করে দেন।
প্রায় ৪০০০ খ্রিস্টানকে বন্দী করা হয়েছিল। খ্রিস্টানদের মধ্যে জুলিয়ানা ডি-কোস্টার মা-বাবাও ছিলেন। যাঁর মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন ঔরঙ্গজেবের ছেলে।
জুলিয়ানার মাকে শাহজাহানের হারেমে রাখা হয়েছিল। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর দিল্লিতে বেড়ে ওঠেন জুলিয়ানা। খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল তাঁর।
অল্প বয়সে বিধবা হয়ে যান। এরপর ১৬৮১ সালে তাঁর জন্য মুঘল হারেমের দরজা খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে জুলিয়ানাকে প্রিন্স মুয়াজ্জম (শাহ আলম)-এর গৃহশিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মুয়াজ্জমের বয়স ১৮ বছর আর জুলিয়ানার ১৭ বছর। এমন অবস্থায় দুজনের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়ে ওঠে। তাঁরা একে অপরের কাছাকাছি চলে আসে।
জুলিয়ানা এবং শাহ আলমের প্রেম ঔরঙ্গজেবের মোটেই পছন্দ ছিল না। তাঁদের আলাদা করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর শাহ আলম সম্রাট হলে তখনও তিনি জুলিয়ানাকে ভুলে যাননি। পর্তুগিজদের তাই সাহায্য চালিয়ে যান।