প্রতি বছর পিতৃপক্ষের সময়, পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য শ্রাদ্ধ, তর্পণ ইত্যাদি করা হয়। পিতৃপক্ষে পিতৃপুজোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে পিতৃপক্ষের সময়, পূর্বপুরুষরা পৃথিবীতে আসেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের আশীর্বাদ করেন।
এই সময়ে, লোকেরা তাদের পূর্বপুরুষদের সন্তুষ্ট করার জন্য তর্পণ এবং শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করে। বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, পিতৃপক্ষ ভাদ্রপদ মাসের পূর্ণিমা তিথি থেকে শুরু হয় এবং আশ্বিন অমাবস্যায় শেষ হয়।
এই বছর পিতৃপক্ষ ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এবং ২ অক্টোবর শেষ হবে। এই সময়ে পূর্বপুরুষের শ্রাদ্ধ, পিন্ডদান, তর্পণ, আচার-অনুষ্ঠান ইত্যাদি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এ সময় মানুষ পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পেতে নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে আজ তুলসীর এমনই কিছু প্রতিকার জেনে নিন, যা করলে আপনার ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি থাকবে।
ধর্মীয় গ্রন্থে তুলসীকে সবচেয়ে পবিত্র বলে মনে করা হয়। অধিকাংশ আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় কাজে পবিত্রতা বজায় রাখতে তুলসী দল ব্যবহার করা হয়।
এমনকি শ্রাদ্ধপক্ষের দিনেও পিতৃপুরুষদের জন্য অন্ন, ঘাস এবং পুজোপাঠ ইত্যাদি পবিত্র রাখার জন্য তুলসী দল ব্যবহার করা হয়।
পিতৃপক্ষের সময়, তুলসী পিতৃপুরুষদের জন্য শ্রাদ্ধ, তর্পণ, আচার, পিন্ডদান ইত্যাদি করতে ব্যবহৃত হয়। এটা করলে তাতে পবিত্রতা আসে।
সেই সঙ্গে সমস্ত দোষ-ত্রুটিও দূর হয়, যার ফলে শ্রাদ্ধের সম্পূর্ণ ফল পাওয়া যায়।
জ্যোতিষীদের মতে, সনাতন ধর্মে তুলসীকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। শ্রাদ্ধপক্ষের সময়, পূর্বপুরুষদের জন্য তৈরি খাবারে বা আচার-অনুষ্ঠানে তুলসীকে শুদ্ধ ও পবিত্র করার জন্য যোগ করা হয়।
আসলে খাবারে তুলসি যোগ করলে পবিত্রতা আসে এবং পুজোয় তুলসি ব্যবহার করলে সকল প্রকার দোষ-ত্রুটি দূর হয় এবং শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ ফল পাওয়া যায়।
হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস আছে যে তুলসী ব্যবহার করলে দোষ-ত্রুটি দূর হয়। এটি পূর্বপুরুষদের মোক্ষলাভ করতেও সাহায্য করে।