ধর্ষিতা, লাঞ্ছিতাদের নিজেদের তৈরি এই গ্রাম, যেখানে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ
উয়াসো উমোজা গ্রামে থাকেন সেই সব মেয়েরা-ই, যাঁরা কোনও না কোনও ভাবে নিগৃহীতা হয়েছেন। ঠাঁই পায় তাঁদের সন্তানরাও।
গ্রামটিতে নারী, শিশু এবং গবাদি পশু বাস করে। তাঁরা সম্বুরু উপজাতির মহিলা। কোনও পুরুষের সেখানে বসবাসের অনুমতি নেই।
সেখানে বাস করা বেশিরভাগ মহিলাই ধর্ষণ,গৃহ নির্যাতন, বাল্য বিবাহ বা নারী যৌনাঙ্গ বিচ্ছেদ থেকে বেঁচে গিয়েছেন।
যুগের পর যুগ ধরে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নির্যাতন সহ্য করতে করতে পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছিল সম্বুরু উপজাতির এই নারীদের। সহ্যের বাঁধ ভাঙল নব্বইয়ের দশকের গোড়ায়। যখন তারা ধর্ষিতা হলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হাতে।
সমাজ থেকে বিদ্রোহ করে বেরিয়ে এলেন ১৫ জন ধর্ষিতা। এক খণ্ড জমিতে থাকতে শুরু করলেন। ঠিক করলেন, এ বার থেকে পুরুষবর্জিত জীবন কাটাবেন।
সেটা ১৯৯০ সালের কথা। ক্রমে ওই এক খণ্ড জমিও নাম পেল। তার নাম হল ‘উমোজা উয়াসো’।
একাধিক রিপোর্ট অনুসারে, আজ এই গ্রামে থাকেন পঞ্চাশের বেশি নারী এবং ২০০ শিশু বসবাস করে।
পুত্রসন্তানদেরও বর্জন করা হয় না। তবে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলেই তাদের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হয়। তাই এই গ্রামে আঠেরো বছরের বেশি বয়সি কোনো পুরুষ নেই।
নিজেদের অর্থব্যবস্থা নিজেরাই গড়ে তুলেছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। কৃষিকাজ, পশুপালনের পাশাপাশি মহিলারা রঙিন পুঁতি দিয়ে গয়না তৈরি করেন। তাঁদের তৈরি গয়না কেনেন পর্যটকরা।
এই গ্রামে পর্যটকেরাও যান। গ্রামে এন্ট্রি ফি দিয়ে প্রবেশ করতে হয় পর্যটকদের।