মার্কিন আপেল ও আখরোটে 'মোস্ট ফেভার্ড নেশন শুক্ল' কাটছাঁট হয়নি, স্পষ্ট করল কেন্দ্র
মার্কিন আপেল, আমন্ড ও আখরোটের ওপর থেকে বাড়তি শুল্ক কমানো নিয়ে এদিন অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র। দিল্লি জানিয়েছে, যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে দেশের ফল উৎপাদনকারীদের ক্ষতি হবে না।
কেন্দ্র বলছে, 'মোস্ট ফেভার্ড নেশন' এর শুল্ক ৫০ শতাংশ ও ১০০ শতাংশ মার্কিনি আপেল ও আখরোটের ওপর ধার্য রয়েছে। শুধু বাড়তি ২০ শতাংশ শুল্ক কাটা হয়েছে।
ফলে মোস্ট ফেভার্ড নেশনের শুল্কের হার মার্কিনি আখরোটের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা প্রতি কেজই থাকছে। শুধু ২০ টাকা প্রতি কেজি বাড়তি শুল্কের হার সরানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আপেলের দাম নিয়ে সদ্য কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সোচ্চার হয়েছেন। তাঁর আঙুল ছিল বিজেপি সরকারের নীতির দিকে। তারপরই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করতে উদ্যত হয় কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, সদ্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দাবি করেছিলেন যে, দেশের চাষিদের থেকে কেন্দ্র বেশি সাহায্য করছে মার্কিনি আপেল উৎপাদনকারীদের।
প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ ছিল, মার্কিনি আপেল থেকে শুল্ক তুলে নিয়ে বিদেশের চাষিদের সাহায্য করছে কেন্দ্র।
প্রিয়াঙ্কার দাবি ছিল যে, শুল্ক তুলে নেওয়ার ফলে মার্কিনি আপেল ভারতের বাজারে বিকোতে সুবিধা হবে। ফলে সিমলার আপেল উৎপাদনকারীরা ক্ষতির মুখ দেখবে।
যদিও প্রিয়াঙ্কার দাবি নস্যাৎ করছে কেন্দ্র। দেশের আপেল উৎপাদনকারীদের এতে কোনও সমস্যা হবে না।
কেন্দ্র বলছে, ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই তাদের সংশ্লিষ্ট পণ্যে কিছু শুল্ক কমিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মার্কিন আপেল, আখরোট, আমন্ডে ২০ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তার পাল্টা হিসাবে আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যেও লাগু হয় শুল্ক।
মাঝখান থেকে ভারতে আপেল আমদানিতে সবচেয়ে বেশি যোগান আসে নিউজিল্যান্ড থেকে। কেন্দ্র বলছে, মার্কিনি আপেল থেকে শুল্ক তুলে নেওয়ায় ভারতের বাজারে রপ্তানির প্রতিযোগিতা পোক্ত হবে।