প্লেন কেন, পাখিও ওড়ে না এই মন্দিরের উপর দিয়ে, রহস্য অগুনতি
হিন্দুদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান পুরীর জগন্নাথ মন্দির। সারা বছর পুরী মন্দিরে থাকে ভক্তদের ঢল।
হিন্দুধর্মে চার ধাম। বদ্রীনাথ, দ্বারকা, রামেশ্বরম এবং পুরী। তবে এই জগন্নাথ মন্দিরের রয়েছে এমন কিছু রহস্য, যা আপনার মুখ হাঁ করবে।
শুনলে অবাক হবেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের উপর বিমান কেন, পাখিও ওড়ে না কখনও।
বিশ্বাস করা হয় যে, শ্রীবিষ্ণুর বাহন পক্ষীরাজ গরুড় পুরী জগন্নাথ মন্দির রক্ষা করেন। যেহেতু গরুড় পাখিদের রাজা তাই অন্য পাখিরা মন্দিরের উপর দিয়ে যেতে ভয় পায়।
জগন্নাথ মন্দির পুরীর চূড়ার উপরে একটি অষ্টধাতুর চক্র রয়েছে। এটি নীল চক্র নামে পরিচিত। এই চক্রটি মন্দিরের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া উড়ো জাহাজের গতিপথে বাধার সৃষ্টি করে। আসলে নীল চক্রের ম্যাগনেটিক পাওয়ারের জন্যই হয় এমনটা।
তবে এখানেই শেষ নয়, পুরীর জগন্নাথ মন্দির নিয়ে রয়েছে আরও বেশকিছু রহস্য-
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সবচেয়ে বড় রহস্য হল এর ধ্বজা। এই ধ্বজা সবসময় বাতাসের গতিপথের বিপরীত দিকে ওড়ে।
পুরীর মন্দিরে রান্না ভোগ কখনও কম পড়ে না বা অতিরিক্ত হয় না। কখনও ভক্তদের প্রসাদ না পেয়ে ফিরতে হয়নি জগন্নাথ মন্দির থেকে।
সকাল থেকে বিকেল, সূর্যের অবস্থান যেদিকেই যাক না কেন, মন্দিরের ছায়া পড়ে না কখনোই।
মন্দিরের সিংহ দরজা পার করে একবার ভিতরে পা রাখলেই আর কানে আসে না ঢেউয়ের আওয়াজ। সিংহদ্বারের বাইরে থেকে স্পষ্ট পাওয়া যায় ঢেউয়ের শব্দ।
পুরীতে পর পর সাতটি মাটির পাত্রে ভোগ রান্না করা হয়। একটি পাত্রের উপরে আর একটি পাত্র। বিজ্ঞান অনুসারে, নীচের পাত্রের ভোগ আগে রান্না শেষ হওয়া উচিত। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যায়, উপরের হাড়ির ভোগই আগে রান্না হয়েছে।
বারো বছর অন্তর ভগবান জগন্নাথ , সুভদ্রা ও বলরামের কাঠের তৈরি বিগ্রহ নতুন রূপে একটি গোপন রীতি মেনে তৈরি করা হয় এবং তাতে প্রাণ প্রদান করা হয় মূর্তির ভিতরে ‘ব্রহ্মবস্তু’ নামে কোনও একটি পদার্থ। একে কলেবর বলা হয়ে থাকে।
পুরীর মন্দিরের প্রাচীন রীতি মতো তা করা হয় কৃষ্ণা চতুর্দশীর মধ্য রাতে। সারা পুরীর সব আলো নিভিয়ে। নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে চার প্রবীণ দৈতাপতি পাণ্ডা চোখ বেঁধে পুরনো অবয়বটি থেকে নতুন কলেবরের মধ্যে ‘ব্রহ্মবস্তু’ রেখে দেন পরম ভক্তি ভরে।