'মৃত্যু মুবারক', মীনা কুমারীর মৃত্যুর পর কেন একথা বলেছিলেন 'দিদি' নার্গিস?
মাত্র ৩৮ বছর বয়সে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন মীনা কুমারী, কিন্তু সেটা তো চিকিৎসদের ভাষায় মৃত্যুর কারণ! সত্যি কি তাই?
মীনা কুমারীর মৃত্যুর আসল কারণ জানতেন তাঁর খুব কাছের মানুষ, নার্গিস। দিদি-বোনের সম্পর্ক ছিল তাঁদের। 'বাজি' বলেই আজীবন নার্গিসকে ডেকেছেন মীনা
মীনার মৃত্যুর খবর পেয়েই চিঠি লেখেন নার্গিস। পরে এক পত্রিকায় ছাপা হয় সেই চিঠি। সেখানে লেখা ছিল-'মওত মুবারক হো মঞ্জু'
হিন্দি সিনেমার 'ট্রাজেডি কুইন' মীনা কুমারী, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল হতাশায় ভরপুর, পর্দার ট্রাডেজির চেয়েও ভয়ঙ্কর ছিল মীনার জীবন
জন্মসূত্রে নাম মেহজবিন, বেবি মীনা হিসাবে শৈশবেই শুরু তাঁর অভিনয় জীবন
মীনার সৌন্দর্যে চোখ আটকে যেত সবার, ডাকাতরাও ছিল তাঁর ভক্ত কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে ভালোবাসার বদলে শুধুই অত্যাচার জুটেছে তাঁর কপালে
তিন সন্তানের বাবা, বয়সে দ্বিগুণ পরিচালক কামাল আমরোহীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন মীনা
বাবার অমতে গোপনে কামাল আমরোহীকে বিয়ে করেন ১৭ বছরের মীনা, সেই বিয়েটা শেষমেশ তাঁর জীবনের দুঃস্বপ্ন হয়ে যায়
নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন, মীনার পেশা নিয়ে স্বামীর লাগানো একাধিক শর্তে ক্রমেই ফুরিয়ে আসছিলেন মীনা। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন নার্গিস।
মিনার মেকআপ রুমে পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল, একবার গুলজারকে সেখানে দেখে মিনার গায়ে তোলেন কামাল আরোহীর সেক্রেটারি, সেই অপমান সহ্য করতে পারেননি অভিনেত্রী
'পাকিজা' অভিনেত্রীকে নিয়ে তাঁর স্বামী বলেছিলেন 'মীনা যত ভাল অভিনেত্রী, স্ত্রী হিসেবে ততটাই খারাপ'। ১৯৬৪ সালে স্বামীর ঘর ছাড়েন মীনা
এরপর ধর্মেন্দ্রকে আঁকড়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন মীনা। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে কম গুঞ্জন নেই, তবে সেখানেও মান্যতা মেলেনি
দীর্ঘকালীন অনিদ্রার চিকিৎসার জন্য রোজ সামান্য ব্র্যান্ডি খেতে শুরু করেন মীনা, এরপর মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। চরম অসুস্থতা নিয়েও চালিয়ে গিয়েছিলেন 'পাকিজা'র শ্য়ুটিং
পাকিজা মুক্তির ৩২ দিনের মাথায় মৃত্যু হল মীনার। সেই খবর পেয়ে 'মুবারক বাত' জানান নার্গিস। লেখেন- 'আর কখনও এ পৃথিবীতে ফিরো না। এ জায়গা তোমার মতো মানুষের জন্য নয়'।