Hindustan Times
Bangla

শীতলা অষ্টমীর দিনে ভোগ হিসেবে বাসি খাবার কেন দেওয়া হয়, জেনে নিন কারণ

হোলির পর থেকেই গরমে তীব্রতা বাড়ে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, শীতলা দেবী হলেন শীতল প্রদানকারী দেবী। তিনি গুটিবসন্ত ও চর্মরোগ থেকে মুক্তি দেন বলেও বিশ্বাস করেন বাংলার মানুষরা। 

সঠিকভাবে শীতলা দেবী আরাধনা করে উপবাস করলে সুস্বাস্থ্যের বর পাওয়া যায়। শীতলা অষ্টমীর দিনে  শীতলাদেবীকে বাসি ও ঠান্ডা খাবার নিবেদন করা হয়, প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

হিন্দু ক্যালেন্ডার মতে, হোলির সাতদিন পরই শীতলা অষ্টমী পালিত হয়। সাধারণত সপ্তমী ও অষ্টমীতে দেবী শীতলার পুজো করা হয়। 

চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয় শীতলা অষ্টমী। রীতি অনুযায়ী, এদিন দেবীকে বাসি খাবার ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়। বাড়িতে এদিন গ্যাস বা উনুন জ্বালানোর নিয়ম নেই।

ক্যালেন্ডার মতে, এদিন পয়লা এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে শীতলাদেবীর বার্ষিক পুজো। অন্যদিকে ২ এপ্রিল পালিত হবে শীতলা অষ্টমী বসোদা উত্‍সব। বাংলা শীতলাদেবীর পুজো হলেও রাসস্থানে বাসদো উত্‍সব অত্যন্ত বিখ্যাত।

কথিত আছে, এদিন শীতলা পুজোর ব্রত ও উপবাস পালন করলে ঘরে সুখ-শান্তি বজায় থাকে, এছাড়া রোগভোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

এছাড়াও শীতলা অষ্টমীর দিন বাসি খাবার খাওয়ার শেষ দিন। তীব্র গরমে বাসি খাবার খাওয়া উচিত নয়। গরমে শুধুমাত্র তাজাও সহজে হজমযোগ্য সুষম খাবার খাওয়া উচিত।