Hindustan Times
Bangla

নাগকে মারলে সত্যিই কি নাগিনী প্রতিশোধ নেয়? কেন এমন কথা অনেকে বলেন

সাপ সম্পর্কিত নানা প্রচলিত তত্ত্ব নিয়ে রিসার্চ চলে। তেমনি ভারতে সাপ নিয়ে অনেক বিশ্বাস এবং ধারণা রয়েছে। 

প্রচলিত ধারণা - যদি কেউ একটি সাপ বা নাগকে হত্যা করেন তবে মহিলা সাপ অর্থাৎ নাগিনী অবশ্যই তার প্রতিশোধ নেবে।

এও প্রচলিত ধারনা রয়েছে, কেউ সাপকে মেরে ফেললে সে মৃত্যুর পর এসে প্রতিশোধ নেয়। এক মধ্যে আদৌ সত্য কতটা?

এখনও পর্যন্ত এগুলি নিয়ে কোনও সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সাপেরা আদৌ সামাজিক জীব নয়,  তারা আক্রমণকারীকে চিনতেও পারে না এবং তাদের বুদ্ধি বা স্মৃতিশক্তিও তেমন প্রখর নয়। 

বিশেষজ্ঞরা তথ্য দিয়েছেন, একটি সাপ মারা যাওয়ার পর সেখানে একাধিক সাপ বিচরণ শুরু করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন একটি সাপকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়, তখন তাঁর যৌনাঙ্গের কাছে উপস্তিত কস্তুরী গ্রন্থি বিস্ফোরিত হয়।

এই গ্রন্থিতে উপস্থিত রাসায়নিক পুরুষ সাপগুলি মহিলা সাপগুলিকে আকৃষ্ট করতে ব্যবহার করে। গ্রন্থি ফেটে গেলে এই রাসায়নিক মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে।

এই রাসায়নিক গন্ধের কারণে পুরুষ সাপ মারা যাওয়ার পর অনেক স্ত্রী সাপ সেখানে জড়ো হয়। যাকে মানুষ সাপের প্রতিশোধ হিসেবে দেখে।

বিশেষজ্ঞরা ব্যক্ত করেছেন, কখনও কোনও ব্যক্তি সাপকে খারাপ ভাবে হত্যা করলে তার শরীর থেকে কস্তুরী গ্রন্থি নির্গত হয়ে পোশাকে লেগে যায়। যার কারণে স্ত্রী সাপগুলি তাড়া করে।

যদি বিজ্ঞানের দিক থেকে দেখা হয়, বিশেষজ্ঞরা বলছেন সাপ কারও ছবি চোখে ধারন করতে পারে না। রাসায়নিক কারণে অনেক সময় সাপ মানুষের কাছে চলে আসে।