Hindustan Times
Bangla

'ভারত' বা 'ইন্ডিয়া' নিয়ে হট্টগোল, এর আগেও নাম পরিবর্তন হয়েছে যেসব দেশের

 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নীতি কার্যকর করা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার দেশের নাম ঘিরে বিতর্ক। ইংরেজিতে 'India'র পরিবর্তে সব ভাষায় দেশের নাম 'ভারত' রাখার দাবি উঠতে শুরু করেছে। 

দেশের নাম কি পরিবর্তন হচ্ছে? জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে নানা চাপান-উতর চলছে। 

তবে কোনও দেশের নাম পরিবর্তনের মহড়া এই প্রথম নয়। জেনে নেওয়া যাক, কোন দেশগুলি এখন পর্যন্ত তাদের নামের পরিবর্তন করেছে-

জাতিসংঘের নথি অনুযায়ী, এতদিন তুরস্কের ইংরেজি নাম ছিল টার্কি। কিন্তু আঙ্কারার আবেদনের মাধ্যমে নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ‘তুরকিয়ে’।

ডাচ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি বদলাতেই  নাম পরিবর্তন করেছেন তারা। ছিল হল্যান্ড। হয়েছে ‘নেদারল্যান্ডস’।

যুগোশ্লাভিয়ার অংশ ছিল মেসিডোনিয়া। ১৯৯১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে রিপাব্লিক অফ মেসিডোনিয়া নামটি নিয়ে আপত্তি ছিল গ্রিসের। কারণ, গ্রিসের একটি অংশের নামও মেসিডোনিয়া। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে রিপাবলিক অফ নর্থ মেসিডোনিয়া নামটি চূড়ান্ত করা হয়।

চলতি বছরের শুরুতে ‘চেখিয়া’ হয়েছে চেক রিপাবলিক। ২০১৬ সাল থেকে এই দুই নামেই পরিচিত হচ্ছে এই দেশ। তবে এখন থেকে এই ছোট নামেই পরিচিত হতে চলেছে দেশটি।

ভারতের পূর্বের দেশটির নামও ছিল বর্মা। ১৯৮৯ সালে দেশের নাম বদলে হয় ‘মায়ানমার’।

১৯৭৬ সালে সে দেশের কমিউনিস্ট শাসকেরা দেশকে কাম্পুচিয়া বলে অভিহিত করতেন।কমিউনিস্ট শাসনের অবসান হওয়ার পর দেশের নাম বদলে সরকারি ভাবে ‘কম্বোডিয়া’ রাখা হয়

এক কালে পার্সিয়া নামে পরিচিত ছিল। ১৯৩৫ সালে ক্ষমতায় আসেন সম্রাট রেজা শাহ। এরপরই দেশের নাম বদলে ‘ইরান’ হয়।

ব্রিটিশরা এই দ্বীপরাষ্ট্রের নাম দিয়েছিল সিলন। আরবিতে শ্রীলঙ্কাকে সাহেলান নামে ডাকা হত।  ১৯৭২ সালে দেশের নাম পরিবর্তন করে ‘স্বাধীন সার্বভৌম শ্রীলঙ্কা প্রজাতন্ত্র’ রাখা হয়েছিল। ছয় বছর পরে, ফের একবার নাম বদলে রাখা হয়, ‘গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক শ্রীলঙ্কা প্রজাতন্ত্র’।