যৌনাঙ্গ অপরিচ্ছন্ন থাকলে হতে পারে নানা রোগ! কীভাবে পরিষ্কার থাকবেন
বহু মহিলাই যৌনাঙ্গের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে একেবারেই পছন্দ করেন না। মহিলাদের যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্যবিধি ঘিরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছেন মহিলারোগ বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, ন্যাচরাল সিক্রিশন (বর্জ্য) বেরিয়ে আসার পদ্ধতি দ্বারা ভ্যাজাইনা বা মহিলাদের যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখার একটি শারীরবৃত্তিয় ক্রিয়া রয়েছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক, মহিলাদের যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্যবিধিতে কোন কোন বিষয় নজর রাখা জরুরি-
যৌনাঙ্গ থেকে অনেক সময়ই দুর্গন্ধ বেরিয়ে থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুর্গন্ধ কোনও ভয়ের কারণ নয়। জীবনযাত্রা পাল্টানোর জন্যই এমন পরিবর্তন দেখা যায়।
অনেক মহিলাই মনে করেন যৌনাঙ্গ পরিচ্ছন্নতায় সাবান অপরিহার্য। তবে চিকিৎসকদের মতে, সাবানে যেহেতু ক্ষার থাকে, তাই মহিলাদের যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখতে তা প্রয়োজন হয় না। প্রতিবার প্রস্রাবের পর জল দিয়ে অঙ্গ ভালো করে ধুয়ে ফেললেই তা কার্যকরী পরিচ্ছন্নতা দিয়ে থাকে।
মহিলাদের যৌনাঙ্গ পরিষ্কারের সময় যৌনাঙ্গের ভিতরে অনেকেই পরিষ্করার করার দিকে ঝুঁকে যান। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এটি সঠিক নয়। এতে ভ্যাজাইনার PH ও বিভিন্ন স্বাভাবিক ফ্লোরা নষ্ট হয়ে যায়।
চিকিৎসকরা বলছেন ভ্যাজাইনা বা মহিলাদের যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখতে শেভিং একটি ভালো দিক। তবে ক্রমাগত শেভিং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, পিরিয়ডের সময় অবশ্যই দিনে একটি প্যাড ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে যৌনাঙ্গে নানান সমস্যা তথা চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও পিরিয়ডে বর্জ্য যদি অত্যন্ত দুর্গন্ধ যুক্ত হতে থাকে, বা ক্রমাগত চুলকানি বা জ্বালা হতে থাকে, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করা উচিত।