অভিভাবকরা চান তাদের সন্তানরা জীবনের প্রতিটি মোড়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী হোক। কিছু কিছু শিশু আছে যারা তাদের প্রতিটি চ্যালেঞ্জের সাথে লড়াই করে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ অনুভূতিগুলি সঠিকভাবে প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়। কিছু পদক্ষেপ রয়েছে অনুসরণ করে আপনিও পারেন আপনার সন্তানকে প্রতিটি উপায়ে শক্তিশালী করতে।
সুষম খাদ্য সন্তানকে সুষম খাদ্য অর্থাত্' সঠিক পরিমাণে মাছ, মাংস, ফল, শাকসবজি খাওয়ানোর ব্যপারে উদ্যোগী করে তুলতে হবে। এটি' মনে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়
দৈনিক যোগব্যায়াম সন্তানকে দৈনিক যোগব্যায়ামের উপকারিতা বোঝান। এই অনুশীলন মনের চিন্তা দূর করে। শরীর করে তরতাজা রাখে
পর্যাপ্ত ঘুম সঠিক সময়ে ঘুমানো ও দিনে অন্তত ৭থেকে ৯ঘণ্টা ঘুমানোর জন্য সন্তানকে তৈরি করুন
পরিষ্কার- পরিচ্ছনতা নিজেকে' পরিষ্কার রাখা এবং পাশাপাশি নিজের আশপাশ পরিষ্কার রাখা কতোটা জরুরী তা ছোটো থেকেই শিখলে তার মধ্যে সুন্দর অভ্য়েস তৈরি হবে।
প্রবাহের সাথে চলা প্রবাহের সাথে চলার ধারণা শেখান: আপনার বাচ্চাদের বুঝিয়ে বলুন যে সবকিছু তাদের পছন্দ অনুযায়ী চলবে না। তাদের বিভিন্ন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার গুরুত্ব বোঝানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের শিক্ষা শিশুরা বৃদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে ভবিষ্যতে তাদের জন্য উপকারী হতে পারে।
স্ক্রিন টাইম আজকালকার প্রজন্ম টিভি, স্মার্টফোনে ব্যস্ত থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই সময় যেন অধিক না হয় সেই খেয়াল রাখা দায়িত্ত্ব আপনার
ধৈর্য ধৈর্যের সাথে জিনিসগুলি পরিচালনা করতে শেখান। শিশুদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা শেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন একটি শিশু কোন অসুবিধার সম্মুখীন হয়, তাকে সাহায্য চাওয়ার পরিবর্তে সমাধান খুঁজতে বলুন। এই শিক্ষা শিশুকে জীবনের সমস্ত প্রতিবন্ধকতার সাথে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
সামাজিক মেলামেশা আপনার সন্তান যত সমাজ-বান্ধব হবে ততই তার ভালোমন্দ বিচার করার ক্ষমতা বাড়বে
আপনার স্বভাব একটি শিশু যা দেখবে, সেটি দেখেই বড় হবে। তাই আপনার নিজেকেও সন্তান লালনপালনের ক্ষেত্রে অনেক সংযত হওয়া প্রয়োজন
প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ কোনসময় যদি দেখেন , আপনার সন্তানের ব্যবহারে পরিবর্তন হয়েছে, কিংবা সে আপনার হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে নিতে পারেন