শুকনো আমন্ড এমনিতে বেশ পরিচিত একটি খাবার। তবে পুষ্টিগুণের হিসেবে শুকনো আমন্ডের তুলনায় পাল্লা ভারী ভেজানো আমন্ডের।
আমন্ড ভেজানো হলে এর মধ্যে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড ও ট্যানিন বেরিয়ে যায়। ফলে শুকনো আমন্ডের তুলনায় তাড়াতাড়ি হজম হয় এটি। এছাড়া আমন্ডে থাকা পুষ্টিকর উপকরণ গুলি সহজে শরীর গ্ৰহণ করতে পারে।
আমন্ডে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া রয়েছে ফাইবার ও প্রোটিনের মতো পুষ্টিকর পদার্থ।
আমন্ড যখন ভেজানো হয়, তখন এর থেকে লাইপেজ নামক উৎসেচক নিঃসৃত হয়। এই লাইপেজ ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ভেজানো আমন্ড নরম হওয়ায় এটি বয়স্কদের পক্ষে খাওয়া ও হজম করা সুবিধাজনক।
বাদাম ও কাঠবাদামজাতীয় ফল হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। হৃদরোগের আশঙ্কা কমাতে সাহায্য করে। আমন্ড রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ভেজানো আমন্ড প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন-ই, কপার ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ শরীরে সরবরাহ করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে রোজ বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করলে সুগার, হৃদরোগ, কোলেস্টেরলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও বাদামের মধ্যে থাকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। যে কারণে ফ্যাটি লিভারের রোগীদেরও রোজ আমন্ড খেতে বলা হয়।
খেতে ভালো লাগে বলে অনেকেই দিনে ৮ টি আমন্ড খান। তবে এতগুলি বাদাম একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। তিনটির বেশি দিনে না খাওয়াই ভালো। বড়জোর ৪ টে হতে পারে। দিনে ৮ টির বেশি আমন্ড খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
জন কমানো, হাড়ের সুস্বাস্থ্য, মেজাজ ঠিকঠাক রাখা, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো, ক্যানসার থেকে ডায়াবেটিস এমন বহু সমস্যার সমাধানে বাদাম খুবই ভালো। অনেক স্বাস্থ্য গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন আমন্ড খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।