পিতৃ পক্ষের সময়কালে যে কাজ ও পুজো করা হয় তা হল পূর্বপুরুষদের খুশি করা এবং তাদের আশীর্বাদ চাওয়ার জন্য করা হয়।
তর্পনের সময়, গঙ্গা জল, দুধ, কালো তিল এবং বার্লি ব্যবহার করা হয় এবং এটি একটি পবিত্র নদী বা জলাশয়ে নিবেদন করা হয়।
সম্ভব হলে, একটি পবিত্র স্থানে গিয়ে পিন্ড দান প্রদান করাও অত্যন্ত উপকারী বলে বিবেচিত হয়।
শাস্ত্র মতে গরু, কাক, পিঁপড়া ও কুকুরকে অন্ন দান করাও পুণ্যের কাজ। বিশেষ করে গরুকে খাওয়ানো খুবই ফলদায়ক।
পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ এবং মন্ত্র জপ বিশেষভাবে ফলদায়ক। বিশেষত, পিতৃসূক্ত পাঠ করে এবং ওম পিতৃভ্যায় নমঃ মন্ত্র জপে পূর্বপুরুষরা সন্তুষ্ট হন।
এছাড়াও, গায়ত্রী মন্ত্র জপ করাও পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পাওয়ার একটি কার্যকর উপায়। এই কাজটি পূর্বপুরুষের নামে পবিত্র ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে করতে হবে।
পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পেতে, অভাবী লোকদের কাপড়, জুতো এবং ছাতা দান করা উপকারী।
পিতৃপক্ষের সময় করা এই ধরনের দান পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি নিয়ে আসে এবং তারা তাদের বংশধরদের আশীর্বাদ করে।
এর সঙ্গে খাদ্য, জল ও ফলমূলও দান করতে হবে।
মৎস্যপুরাণে উদ্ভিদপ্রণালীর উল্লেখ আছে, অর্থাৎ পূর্বপুরুষদের জন্যে গাছে সেচ দিন।
এই সময়ে চারা রোপণ করাও পিতৃপুরুষদের তৃপ্তি হয়। কেননা গাছে জল দিলে মন শান্ত থাকে, বুদ্ধি শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং রোগ নিরাময় হয়।